প্রথমে রোড-শো, সবরমতী আশ্রম সফর, অ্যাবেকে নিয়ে মসজিদ দর্শন মোদীর
আমদাবাদ: পরনে কুর্তা-পাজামা-নেহরু জ্যাকেট। এভাবেই হুড-খোলা জীপে চড়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পাশে নিয়ে আট কিলোমিটার পথ পেরিয়ে সবরমতী আশ্রম গেলেন শিনজো অ্যাবে। কোনও বিদেশি রাষ্ট্রনেতাকে এহেন রোড-শোতে প্রথম দেখলেন দেশবাসী।
দুদিনের সফরে বুধবার ভারতে আসেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে এসেছেন স্ত্রী আকি। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন খোদ মোদী। অ্যাবেকে তিনি জড়িয়ে ধরে স্বাগত জানান। এরপর জাপ প্রধানমন্ত্রীকে একদফা গার্ড অফ অনার দেওয়া হয় বিমানবন্দরেই।
সেখানে কিছুক্ষণ থেকে সবরমতী আশ্রমের দিকে রওনা দেন দুই রাষ্ট্রনেতা। তবে, তার আগে বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে পরনের পোশাক পরিবর্তন করে নেন অ্যাবে। বিমান থেকে এদিন যখন অবতরণ করেন অ্যাবে, তখন তাঁর পরনে ছিল ফর্মাল শ্যুট।
কিন্তু, সবরমতী আশ্রমের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে বিদেশি পোশাক ছেড়ে পুরো ভারতীয় পোশাক চাপিয়ে নেন জাপ প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দর থেকে অ্যাবে যখন বের হলেন, তখন তাঁর পরনে ছিল কুর্তা-পাজামা ও নেহরু জ্যাকেট। তাঁর স্ত্রীর পরনে ছিল লাল সালোয়ার-কামিজ। সঙ্গে সাদা স্টোল।
বিমানবন্দর থেকে সবরমতী আশ্রমের দূরত্ব প্রায় ৮ কিলোমিটার। নরেন্দ্র মোদীকে পাশে নিয়ে হুড খোলা জিপে চড়ে দাঁড়িয়ে পড়লেন অ্যাবে। আমদাবাদের রাস্তায় দুই রাষ্ট্রনেতার রোড-শো দেখতে তখন দুদিকেই ভিড় জমিয়েছেন মানুষ। তাঁদের মধ্য দিয়েই চলল মোদী-অ্যাবের কনভয়।
আগত রাষ্ট্রনেতাকে স্বাগত জানাতে ও দেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য তুলে ধরতে ২৮টি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে বিভিন্ন রাজ্যের শিল্পীরা লোকনৃত্য পরিবেশন করে দেখান। বহু মানুষ হাতে ভারতীয় ও জাপানের পতাকা নিয়ে নাড়াতে থাকেন।
সবরমতী আশ্রেমে পৌঁছে জাতির জনক মহাত্মা গাঁধীকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তাঁরা। সেখানে রাখা চরকার গুরুত্ব অ্যাবেকে বোঝাতে দেখা য়ায় মোদীকে। বেশ কিছুক্ষণ সবরমতী আশ্রমে কাটান মোদী ও অ্যাবে।
সেখান থেকে মোদী এবং অ্যাবে ষোড়শ শতাব্দীর সিদি সঈদ নি জালি মসজিদে যান। সেখানেও কিছুক্ষণ সময় কাটান। পূর্ব আমদাবাদে স্থিত হলুদ বেলে পাথর দিয়ে তৈরি এই প্রাচীণ মসজিদ জাফরির কাজের জন্য বিখ্যাত।আগামীকাল, দুই রাষ্ট্রনেতা মিলে আমদাবাদ ও মুম্বইয়ের মধ্যে হাই-স্পিড বুলেট ট্রেনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। ওই প্রকল্পটি ২০২২ সাল নাগাদ শেষ হওয়ার কথা। জানা গিয়েছে, দুই শহরের মধ্যে ৫০০ কিলোমিটার দূরত্ব মাত্র ২ ঘণ্টায় অতিক্রম করা যাবে।