(Source: Poll of Polls)
বিহারের বাইরে বিজেপির সঙ্গে জোট নয়, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে একা লড়বে জেডিইউ, সিদ্ধান্ত নীতীশের
দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে নীতীশ কুমার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, স্রেফ বিহারেই বিজেপির সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখবে তাঁরা। রাজ্যের বাইরে এনডিএ শরিক হবে না জেডিইউ।
পটনা: বিহারে ‘দোস্তি’, বাইরে ‘কুস্তি’! হ্যাঁ, আপাতত বিজেপি ‘বন্ধু’ জনতা দল ইউনাইটেডের সিদ্ধান্ত এটাই। দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে নীতীশ কুমার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, স্রেফ বিহারেই বিজেপির সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখবেন তাঁরা। রাজ্যের বাইরে এনডিএ শরিক হবে না জেডিইউ। শুধু তাই নয়, আরও একধাপ এগিয়ে জেডিইউ প্রধান সিধান্ত নিয়েছেন, আসন্ন চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেও একা লড়বেন তাঁরা। সূত্রের খবর, জম্মু-কাশ্মীর, ঝাড়খণ্ড, হরিয়ানা ও দিল্লি এই চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেই একা লড়বে নীতীশের দল।
নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট তথা দলের সহ সভাপতি প্রশান্ত কিশোর এবং বিভিন্ন রাজ্যের সভাপতি ও জয়ী সাংসদ, বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকেই সর্বসম্মতিতে এই দিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মোদি মন্ত্রিসভায় শরিক দলের ঠাঁই হয়নি বলেই জেডিইউ এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী অতীতে জানিয়েছিলেন, তাঁরা কোনও ‘প্রতীকী প্রতিনিধিত্ব’ চাননি বলেই মন্ত্রিসভায় যাননি। তাঁর বক্তব্য ছিল, বিজেপি শরিকদের ছাড়াই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। দেশের রায় বিজেপির পক্ষে গিয়েছে। তাই স্রেফ শরিক হওয়ার সুবাদে কোনও মন্ত্রীত্ব তাঁরা চান না।
যদিও বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেন, কাঙ্খিত মন্ত্রীত্ব না পাওয়ার কারণেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে সরে এসেছে জেডিইউ। তাঁদের অনেকের এও মত, বিহারে বিজেপি ১৭টি লোকসভা আসনে জয়ের পর তারা আর ‘ছোট্ট’ শরিকের তকমায় সন্তুষ্ট থাকবেন না। বিহারেই আরও বৃহৎ কিছু দাবি করবে বিজেপি। অন্যদিকে ১৬ আসনে জয়ী হওয়া জনতা দল ইউনাইটেড চাইবে নিজের শক্তি বাড়াতে। সেই মতোই নিজেদের শক্তিবৃদ্ধির পক্ষেই সওয়াল করেছেন নীতীশ কুমার। আগামী বর্ষে নিজেদের সদস্য সংখ্যা আরও ৫০ লাখ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। তৃণমূল স্তর থেকে দলের একেবারে শীর্ষস্থানেও রদবদলের ভাবনাও করা হচ্ছে। সংগঠন মজবুত করতে দলকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনাও রয়েছে বিহারের শাসক দলের।