এক্সপ্লোর
Advertisement
কাশ্মীরে যারা পাথর ছুঁড়ছে, তারা সত্যাগ্রহী নয়, আগ্রাসনকারী, বললেন জেটলি, তোপ পাকিস্তানকেও
জম্মু: নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাশ্মীরের অস্থিরতা মোকাবিলায় কোনও নীতিই নেই, বিরোধীদের তোলা এহেন অভিযোগের জবাব দিতে আসরে নামলেন অরুণ জেটলি। জম্মুর উপকণ্ঠে এক সমাবেশে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, কাশ্মীরে যারা হিংসা ছড়াচ্ছে, তাদের প্রতি নরম হওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। তবে গত ৬০ বছরে যে উন্নয়ন কাশ্মীর পায়নি, তার জন্য যাবতীয় প্রয়াস চালানো হবে।
কাশ্মীরের পরিস্থিতি ‘উদ্বেগজনক’ বলে মেনে নিয়ে তিনি মন্তব্য করেন, কাশ্মীরে যারা পাথর ছুঁড়ছে, তারা মোটেই ‘সত্যাগ্রহী নয়, বরং আগ্রাসনকারী, হামলাকারী’। এরা নিশানা করছে পুলিশ, নিরাপত্তাবাহিনীকে। বলেন, যদি ২০০০ লোক মিলে কোনও থানায় পাথর ছুঁড়তে থাকে, যেখানে মাত্র ১০ জন পুলিশকর্মী আছে, তবে সেটাকে হামলাই বলতে হবে। কিন্তু কিছু লোক এটা বুঝতে পারছে না। এদের দৃষ্টিভঙ্গি সীমাবদ্ধ। কাশ্মীরের চলতি অশান্তির জন্য পাকিস্তানকে আক্রমণ করে জেটলি বলেন, ১৯৪৭ সালে দেশবিভাজনের পর থেকে যুদ্ধ করে, অশান্তিতে ইন্ধন দিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর ছিনিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়ে এখন ‘ভারতের ঐক্য, সংহতি’তে ‘নতুন ভাবে’ আঘাত করতে চাইছে ওরা। পাকিস্তান বুঝতে পেরেছে, যুদ্ধ করে ভারত থেকে জম্মু ও কাশ্মীরকে ছিনিয়ে নেওয়া যাবে না। তাই ওরা জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ভারতে ঢুকিয়ে দেওয়া শুরু করল। কিন্তু সেই সন্ত্রাসবাদীরা খতম হওয়ার পর ওরা নতুন কৌশল নিল। ২০০৮ সালে অমরনাথ যাত্রা শুরু হল জম্মুতে। ওরা পাথর ছোঁড়া শুরু করল। বইয়ের পরিবর্তে স্কুলে যাওয়া পড়ুয়াদের হাতে পুলিশ, নিরাপত্তাবাহিনীর ওপর হামলা চালাতে পাথর তুলে দেওয়া হল। কিন্তু যাদের দৃষ্টিভঙ্গি সীমিত, তাদের চোখে শুধু পাথর ছোঁড়া ছেলেদের গ্রেফতারিটাই বড় হয়ে উঠল। হাজার হাজার পুলিশ, সিআরপিএফ জওয়ান যে আঘাত পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন, সেটা তারা দেখল না।
প্রধানমন্ত্রী জম্মু ও কাশ্মীরে তিনটি বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন বলে জানিয়ে জেটলি বলেন, প্রথমত, দেশের সংহতি, সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনও আপস নয়। যারা হিংসা ছড়াচ্ছে, তাদের সঙ্গেও সমঝোতা হবে না। দ্বিতীয়ত, গত ৬০ বছরে ন্যাশনাল কনফারেন্স, কংগ্রেসের শাসনে উন্নয়ন হয়নি সন্ত্রাস, হিংসার শিকার হওয়া জম্মু ও কাশ্মীরে। তাই রাজ্যের উন্নয়ন প্রয়োজন। তৃতীয়ত, বিজেপির সমর্থনের বড় ভিত্তি আছে জম্মুতে। তাই বিশেষ নজর প্রয়োজন জম্মুর।
জম্মু ও কাশ্মীরের গত ৪৪ দিনের অশান্তির প্রেক্ষাপটে তিনি বলেন, একটা সিরিয়াস পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেখানে। পাকিস্তান, বিচ্ছিন্নতাবাদীরা, ধর্মীয় মৌলবাদীরা হাত মিলিয়েছে। নতুন ভাবে ওরা ভারতের সংহতিকে আঘাত করছে। এটা ‘বড় চ্যালেঞ্জ’ বলে মন্তব্য করেন জেটলি।
তিনি বলেন, ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, জম্মু ও কাশ্মীর যে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, পাকিস্তান এটা কখনই স্বীকার করেনি। যেদিন দেশভাগ হল, সেদিনই ভারত দেশবাসীর জীবনের মান বাড়াতে গরিবির কবল থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ইতিবাচক এজেন্ডা নিল। অনেক সমস্যা এসেছে, সেগুলির মোকাবিলা করে আমরা এগিয়ে গিয়েছি। ভারতের দারিদ্র্যের মধ্যে জন্ম হলেও গোটা দুনিয়ার কাছে ভারত সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি বলে পরিচিত। উল্টোদিকে পাকিস্তান তার জনগণের জীবনের মান বাড়ানোর এজেন্ডা নেয়নি, বরং কাশ্মীর নিয়ে বাজার গরম করে আসল সমস্যা থেকে দেশবাসীর নজর ঘোরানোর চেষ্টাই করেছে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
খবর
জেলার
Advertisement