এক্সপ্লোর
Advertisement
রেল লাইনে মল থেকে যাত্রীর দেড়লাখি সোনার হার উদ্ধার করলেন স্টেশন মাস্টার
নয়াদিল্লি: রেলে দুই দশকের বেশি চাকরি করছেন স্টেশন মাস্টার অনিল কুমার শর্মা। যাত্রীদের বিপদে আপদে বিভিন্নভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন তিনি। কিন্তু মল থেকে সোনার চেন উদ্ধারের মতো কাজ এর আগে তাঁকে করতে হয়নি। মহারাষ্ট্রের ইয়োলা স্টেশনে কর্মরত শর্মার কাছে গত ১৬ জুলাই একটা ফোন আসে। ফোনে বলা হয়, তাঁর স্টেশন দিয়ে যাওয়ার সময় এক যাত্রীর সোনার চেন পড়ে গিয়েছে ট্রেনের টয়লেটে। ঘটনার কথা বলতে গিয়ে হেসে ফেলেন শর্মা। ফোনটি পেয়েই ট্রেনে ছুটে যান শর্মা। এক যাত্রী বললেন, তাঁর ৫০ গ্রাম ওজনের সোনার চেন পড়ে গিয়েছে টয়লেটে। দেড় লক্ষ টাকা দামের ওই চেন খুঁজে বের করতে চান তিনি।
ওই যাত্রী অর্থোপেডিক সার্জেন। নাম ড. চবন পাটিল। মহারাষ্ট্র এক্সপ্রেসে নোনদাদ থেকে মানমাদ যাওয়ার পথে ইয়োলা স্টেশনের কাছে ট্রেনের শৌচাগারে জামা খুলতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। সোনার হার গলা থেকে টানা হয়ে একেবারে টয়লেটে গিয়ে পড়ে। শব্দ শুনে উঁকি দিয়ে যখন দেখলেন ততক্ষণে সোনার হার ভেতরে গায়েব হয়ে গিয়েছে।
সঙ্গে সঙ্গে রেল আধিকারিকদের ঘটনাটি জানান তিনি।
ড. পাটিল বলেছেন, চেন টেনে ট্রেন থামাতেই গার্ড ও স্টেশন মাস্টার ছুটে আসেন। তাঁরা পাটিল বলেন যে, ট্রেনটির টয়লেট জৈব-প্রযুক্তির। তাই এখানে কিছুই করার নেই। কোলাপুরের সাফাই কর্মীরাই একমাত্র সেটি খুলতে পারেন। তাই হারানো হারটি খুঁজতে তাঁকে কোলাপুরে যেতে হবে।
ড. পাটিল অত হাঙ্গামা করে কোলাপুরে যাওয়ার ঝক্কি নেননি। তিনি তাঁর ফালতানের বাড়িতে ফিরে যান। বাড়িতে ঘটনার কথা জানান তিনি। এরপর বাবার হার খুঁজে বের করতে উদ্যোগী হন তাঁর টেক-স্যাভি কন্যা। ঘটনার দুদিন পর গত ১৮ জুলাই রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুর কাছে ট্যুইটারের মাধ্যমে সাহায্যের অনুরোধ জানান তিনি। ১০ মিনিটের মধ্যেই চলে আসে রেলমন্ত্রীর জবাব। প্রভু জানান, তিনি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আধ ঘন্টার মধ্যেই ড. পাটিল পুনে রেলওয়ে স্টেশন চিফের ফোন পান। তিনি পরের দিনই ড. পাটিলকে কোলাপুর চলে আসতে বলেন। ড. পাটিল জানিয়েছেন, তিনি কোলাপুরে গিয়ে জানতে পারেন যে, ট্রেনটির টয়লেট জৈব-প্রযুক্তির ছিল না। ট্রেনের কামরায় সাধারনত যে টয়লেট থাকে, এটি ছিল সে ধরনেরই।
কাজেই বোঝা গেল যে, টয়লেটের গর্ত দিয়ে সোনার হার ইয়োলা স্টেশনের কাছেই ট্রেন লাইনের ওপরই কোথাও পড়েছে।
এরপর ফের ইয়োলার স্টেশন মাস্টার শর্মার কাছে ফের ফোন আসে। ইয়োলা স্টেশনের কাছাকাছি কোথাও সোনার হারটি পড়ে রয়েছে জানতে পেরে তল্লাশি শুরু করেন শুক্লা। কয়েকজন সহকর্মীকে সঙ্গে তিনি ট্রেন লাইনে প্রায় দু কিলোমিটার তল্লাশি চালান। ওই দিনটা আবার প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছিল। খুঁজতে খুঁজতেই পাথরের টুকরোর মধ্যে চকচকে কিছু একটা দেখতে পান। একটা তার দিয়ে টেনে বের করতেই বেরিয়ে পড়ল খোয়া যাওয়া সোনার হার। সেটিতে তখনও মল লেগে রয়েছে।
স্টেশনে নিয়ে এসে একটা ট্যাপের নিচে রেখে হারটি সাফ করা হয়।
পরের দিন ড. পাটিলের হাতে হারটি তুলে দেওয়া হয়। তবে ফেরত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ড. পাটিল ওই দেড়লাখি সোনার হারটি গলায় পরেছিলেন কিনা,তা জানা যায়নি।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
বিনোদনের
খবর
ব্যবসা-বাণিজ্যের
খেলার
Advertisement