এক্সপ্লোর
Advertisement
বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই: মমতার আহ্বানকে স্বাগত বিরোধীদের
কলকাতা: বিজেপির বিরুদ্ধে কেন্দ্র বৃহত্তর জোট গড়ার জন্য তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানকে সমর্থন করল বিরোধী দলগুলি।
২০১৯ সালের পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনে তিনি যে বিজেপির বিরুদ্ধে বড় ভূমিকা পালন করতে চলেছেন, সম্প্রতি তার ইঙ্গিত মিলেছিল মমতার কথায়। তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন, আমরা আলাদা ভাবে লড়াই করছি। যদি কেউ আসে, তারা স্বাগত। তৃণমূল নেত্রীর মতে, দেশে বর্তমানে যা ঘটে চলেছে, তা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী।
মমতা জানান, এখন সরকারকে পাল্টা কেউ প্রশ্ন করলেই, তাকে দেশ-বিরোধী তকমা দেওয়া হচ্ছে। এটা দেশের পক্ষেও হিতের নয়। মমতার সাফ বার্তা, আমাদের দেশপ্রেম নিয়ে কারও প্রশ্ন করাই উচিত নয়। আমরা সকলেই দেশকে ভালবাসি। কেউ দেশ-বিরোধী নয়।
সাম্প্রতিককালে, ভোপাল জেল থেকে পালানো ৮ জন সিমি সদস্যকে এনকাউন্টারে হত্যা করাই হোক বা সংবাদমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করাই হোক, অথবা এক পদ এক পেনশন প্রসঙ্গে রাহুল গাঁধীর গ্রেফতারির প্রসঙ্গ হোক-- কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারংবার তোপ দেগেছেন মমতা।
এই প্রেক্ষিতেই বিজেপির ‘সাম্প্রদায়িক রাজনীতি’-কে হঠানোর দাবি করে তিনি সব দলের কাছে আহ্বান করে বলেছিলেন, আমি সব দলের কাছেই আবেদন করছি। আমি আমার বন্ধুদের বলছি, আসুন একসঙ্গে লড়াই করি।
মমতার এই আহ্বানকে সমর্থন করেছে কংগ্রেস, জেডিইউ, সমাজবাদী পার্টি এবং আম আদমি পার্টি। কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতা জানান, ব্যক্তিগতভাবে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। তিনি মনে করেন, বিজেপির সঙ্গে একযোগে লড়াই করা উচিত। যদিও, একইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দলের হাইকম্যান্ড।
জেডিইউ-র প্রধান সাধারণ সম্পাদক এবং জাতীয় মুখপাত্র কে সি ত্যাগী বলেন, আমরা মমতাকে আগেও সমর্থন করেছি এবং তিনিও আমাদের সমর্থন করেছেন। তিনি যোগ করেন, মমতার নেতৃত্বে ধর্মনিরপেক্ষ জোট হলে তাদের যোগ দিতে কোনও আপত্তি নেই। তাঁর সাফ কথা, বিজেপি ও তার সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কংগ্রেস সহ সকল সম-মনস্ক দলকে হাতে হাত মেলাতে হবে।
মমতার সমর্থন করেছে সমাজবাদী পার্টিও। দলের সাধারণ সম্পাদক অমর সিংহ জানান, উনি (মমতা) যা বলেছেন, পুরোটাই সত্যি। সময় এসেছে ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির ঘর-বাপসী, গো-রক্ষার মতো সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে ঐকবদ্ধ হয়ে লড়া। বাদ যায়নি আম আদমি পার্টিও। দলের মুখপাত্র মনে করিয়ে দেন, কেজরীবাল ও মমতার মধ্যে সুসম্পর্ক রয়েছে।
যদিও, বিজেপি এই বিষয়টিকে আমল দিতে নারাজ। দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় জানান, মমতার উচিত জাতীয় রাজনীতি নিয়ে তা এই ‘দিবানিদ্রা’ বন্ধ করা। উল্টে নিজের রাজ্যের প্রতি তাঁর বেশি মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।
মমতার এই আহ্বানকে কটাক্ষ করেছে সিপিএম-ও। দলের মতে, এসব মানুষকে ভাঁওতা দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
জেলার
Advertisement