PM Modi Mann Ki Baat: ‘প্রজাতন্ত্র দিবসে তেরঙ্গার অপমানে দুঃখ পেয়েছে দেশ’, লালকেল্লায় তাণ্ডব প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী
আর কিছুক্ষণ পর সকাল ১১ টায় তার মাসিক বেতার অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’-এ বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশবাসীর কাছে বিভিন্ন বিষয়ে নিজের চিন্তাভাবনার কথা জানাবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী প্রতি মাসের শেষ রবিবার সকাল ১১ টায় বেতারে মন কি বাত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন। দূরদর্শন ও আকাশবাণীর সমস্ত চ্যানেলেই এই অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
নয়াদিল্লি: ২৬ জানুয়ারি লালকেল্লায় তাণ্ডব নিয়ে রবিবার বছরের প্রথম 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বললেন, ‘প্রজাতন্ত্র দিবসে জাতীয় পতাকা অপমানিত হয়েছে। ২৬ জানুয়ারি তেরঙ্গার অপমানে দুঃখ পেয়েছে দেশ।’
দেশব্যাপী চলতি করোনা টিকাকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকাকরণ কর্মসূচি চলছে ভারতে। ৩০ লক্ষের বেশি করোনা যোদ্ধাকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ভ্যাকসিন-সাফল্যে বিশ্বমঞ্চে ভারতের মুখ আরও উজ্জ্বল হয়েছে।’
সকাল ১১ টায় তার মাসিক বেতার অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’-এ বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশবাসীর কাছে বিভিন্ন বিষয়ে নিজের চিন্তাভাবনার কথা জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী প্রতি মাসের শেষ রবিবার সকাল ১১ টায় বেতারে মন কি বাত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন। দূরদর্শন ও আকাশবাণীর সমস্ত চ্যানেলেই এই অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
বর্তমানে দিল্লির বিভিন্ন সীমানা এলাকাগুলিতে তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের বিক্ষোভ চলছে। কৃষকদের এই আন্দোলন সম্পর্কেও এ বছরের প্রথম মন কি বাত অনুষ্ঠানে তাঁর প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রী জানান। এছাড়াও কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিষয়েও বক্তব্য রাখেন। ভ্যাকসিন এলেও করোনার প্রকোপ মোকাবিলায় তিনি আরও বেশি সতর্কতা পালন, মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আর্জি জানান তিনি।
সরকার জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনা টিকা প্রদানের অনুমতি প্রদান করেছিল। প্রধানমন্ত্রী মন কি বাত অনুষ্ঠানে এই প্রসঙ্গেও তাঁর মতামত জানান। এছাড়াও, আগামীকালও সংসদে পেশ হবে সাধারণ বাজেট। এর পরিপ্রেক্ষিত এদিনের মন কি বাত খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
গত বছরের শেষ মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী প্রথমে জনগনের পক্ষ থেকে লেখা চিঠির প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছিলেন। তিনি বলেছিবেন, অধিকাংশ চিঠিতেই মানুষ দেশের সক্ষমতা, দেশবাসীর সম্মিলিত শক্তির প্রশংসা করেছেন। জনতা-কার্ফুর রূপায়ণ সারা বিশ্বে প্রেরণা হয়ে উঠেছিল। করতালি ও থালা বাজিয়ে দেশের করোনা-যোদ্ধাদের সম্মান জানানো হয়েছিল। এসব ক্ষেত্রে দেশের ঐক্যবদ্ধ চেহারা ফুটে উঠেছিল। চিঠিগুলিতে এরই প্রসঙ্গ স্মরণ করেছেন অনেকেই।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছিলেন যে, দেশের মানুষ শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এবং তা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। ভোকাল ফর লোকাল-এর স্লোগান আজ প্রতি ঘরেই শোনা যাচ্ছে। এরমধ্যে, নিশ্চিত করার সময় এসেছে যে, আমার পণ্য যেন বিশ্বাসযোগ্য হয়। ভোকাল ফর লোকাল-এর এই চিন্তাভাবনা টিকিয়ে রাখতে হবে। তাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। নতুন বছরের জন্য যখন সংকল্প নেবেন, তখন দেশের জন্যও নেবেন।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
and tablets