এক্সপ্লোর
Advertisement
বুরহান ওয়ানি ‘তরুণ নেতা’, রাষ্ট্রপুঞ্জে দাবি করলেন শরিফ; জ্ঞানের কেন্দ্র তক্ষশিলাকে সন্ত্রাসের উপকেন্দ্র বানিয়ে তুলেছে পাকিস্তান, পাল্টা জবাব ভারতের
নিউ ইয়র্ক: কোনও জায়গা থেকে কোনও সাড়া পাচ্ছেন না। মুখ ফিরিয়েছে এতদিনের বন্ধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। কিন্তু রাষ্ট্রপুঞ্জে কাশ্মীর নিয়ে হইচই পাকাতে চেষ্টার ত্রুটি করছেন না নওয়াজ শরিফ। এবার সেনার হাতে খতম হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি বুরহান ওয়ানিকে ‘তরুণ নেতা’-র আখ্যা দিলেন তিনি। কাশ্মীর নিয়ে বলতে উঠে বুরহানের প্রসঙ্গ টেনে আনেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তাকে ‘তরুণ নেতা’ আখ্যা দিয়ে বলেন, বর্তমানে কাশ্মীরের ‘জনপ্রিয় ও শান্তিপূর্ণ স্বাধীনতা আন্দোলনের মুখ’ হিসেবে উঠে এসেছে সে। মিনিটকুড়ির বক্তৃতার বেশিরভাগটাই কাশ্মীর নিয়ে পাক অবস্থানের ব্যাখ্যা দিতে ব্যয় করেন শরিফ। ভারতের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীর সহ সব সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার মৌখিক ইচ্ছাপ্রকাশ করেও বলেন, পাকিস্তানিরা কাশ্মীরীদের ‘আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার’-কে পুরোপুরি সমর্থন করে। কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা ‘নির্বিচারে খুনজখম’ চালাচ্ছে বলে ফের অভিযোগ করে তাঁর দাবি, ঘটনার স্বাধীন তদন্ত করে রাষ্ট্রপুঞ্জ ‘অপরাধী’-দের শাস্তির ব্যবস্থা করুক।
ভারত অবশ্য প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই শরিফের অভিযোগের মুখের মত জবাব দেয়। রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী মিশনে বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর জানিয়ে দিয়েছেন, বুরহানের মত জঙ্গিকে প্রকাশ্যে মাথায় তুলে পাকিস্তান নিজেদের আসল চেহারাটাই বিশ্বের সামনে প্রকাশ্যে এনে দিল। বুরহান হিজবুল মুজাহিদিনের মত জঙ্গি গোষ্ঠীর পান্ডা ছিল, বিস্ময়ের, যে একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপুঞ্জের মত জায়গায় তাকে সম্মানিত করার চেষ্টা করছেন। সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে ব্যবহার করে চলেছে পাকিস্তান, তাদের ব্ল্যাকমেলিংয়ের সামনে দিল্লি মাথা নত করবে না। শরিফের আলোচনার প্রস্তাব উড়িয়ে দিল্লি জানিয়ে দেয়, আলোচনা আর খুন একসঙ্গে চলতে পারে না। পাকিস্তান মুখে আলোচনার কথা বলছে ঠিকই কিন্তু হাতের বন্দুক নামায়নি তারা।
একইভাবে রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি ইনম গম্ভীর মন্তব্য করেছেন, মানবাধিকারকে সবথেকে ভয়াবহভাবে লঙ্ঘন করে সন্ত্রাসবাদ। পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র। রাষ্ট্রপুঞ্জ যাদের জঙ্গি আখ্যা দিয়েছে, পাকিস্তানের রাস্তায় খোলাখুলি ঘুরে বেড়ায় তারা, রাষ্ট্রের সাহায্যে চালায় নিজেদের কাজকর্ম। আর জঙ্গিদের রাষ্ট্রীয় সাহায্য যুদ্ধাপরাধ ছাড়া কিছু নয়। শুধু ভারতই নয়, ভারতের অন্যান্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রও এই পাকিস্তানের স্পনসর করা সন্ত্রাসবাদের শিকার। এরা শুধু জঙ্গিদেরই পুষ্ট করছে না, নানা মধ্যযুগীয় আইনের মাধ্যমে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও নারীদের ন্যূনতম বাঁচার অধিকারও ক্ষুণ্ণ করেছে। প্রাচীনকালের জ্ঞানের কেন্দ্র তক্ষশিলাকে সন্ত্রাসবাদের আইভি লিগে পরিণত করেছে এরা। গোটা বিশ্বের উঠতি জঙ্গিরা এখানে এসে জঙ্গিপনায় হাত পাকাচ্ছে। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে তাদের বিষাক্ত নিঃশ্বাস। তাঁর কথায়, যে দেশ আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের উপকেন্দ্র হিসেবে নিজেদের পরিচয় পোক্ত করেছে, তারাই আবার সুযোগ পেলেই মানবাধিকার নিয়ে উপদেশ দিচ্ছে। কিন্তু ভারত কোনওভাবেই সন্ত্রাসবাদকে বরদাস্ত করবে না বলে দিল্লি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
কলকাতা
খবর
খবর
জেলার
Advertisement