আমি জাত কংগ্রেসি, শিকড়ে ফিরলাম! বললেন সিধু, মানুষ ছুঁড়ে ফেলে দেবে, পাল্টা অকালি-তোপ
নয়াদিল্লি: নিজেকে জাত কংগ্রেসি বলে দাবি করে হাইকমান্ড নিযুক্ত যে কারও নেতৃ্ত্বে চলতে তৈরি বলে জানালেন নভজ্যোত সিংহ সিধু। বিস্তর জল্পনা, আলোচনার পর কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন ক্রিকেট থেকে রাজনীতিতে পা রাখা, সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে আসা সিধু।
আর হাতেগোনা কয়েকটা দিনের পরই পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন। কংগ্রেস এখনও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে কাউকে প্রজেক্ট করেনি। কংগ্রেসের প্রচার চলছে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহের নেতৃত্বেই। সিধু কাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তুলে ধরা হতে পারে, সে ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি। তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হতে পারেন কিনা, জানতে চাওয়া হলেও মন্তব্য করেন, এ নিয়ে কথা বলার সময়ই হয়নি! টিভি শো-তে যেমন টীকা-টিপ্পনি কেটে হাসির ফোয়ারা তোলেন, সেভাবেই স্বভাবসিদ্ধ ঢঙেই টুকরো টাকরা মন্তব্য ছুঁড়ে দেন সিধু। যেমন, রাজনীতিতে যদি, কিন্তুর কোনও জায়গা নেই। আমার কাকীর যদি দাড়ি-গোঁফ থাকে, তাকে কাকাই বলব! দল যেখান থেকে লড়তে বলবে, সেখান থেকেই তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলেও জানান সিধু। ৩০ মিনিটের সাংবাদিক সম্মেলনে জন্মসূত্রে কংগ্রেসি বলে নিজেকে ঘোষণা করে জানান, তাঁর বাবা ভগবন্ত সিংহ সিধু ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী, ৪০ বছর ধরে কংগ্রেস করেছেন। তাই এটা আমার শিকড়ে ফেরা, মন্তব্য করেন সিধু। এও বলেন, ব্য়ক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য় নয়, পঞ্জাবকে বাঁচাতেই এখানে এলাম।
মুখ্য়মন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী, দুই বাদলকে কাঠগড়ায় তোলেন সিধু। লুটপাট করে সমৃদ্ধশালী রাজ্যকে ধ্বংস করার অভিযোগ তোলেন তাঁদের বিরুদ্ধে।
নাম না করেই বিজেপির এক নেতা 'মন্থরা'র ভূমিকা পালন করায় তিনি চারবারের জেতা অমৃতসর কেন্দ্র ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বলেও দাবি করেন সিধু। প্রসঙ্গত, গত নির্বাচনে অমৃতসর থেকে লড়েন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, যদিও সফল হননি।
এদিকে সিধুকে পালটা কটাক্ষ করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিংহ বাদল বলেন, যে দল (বিজেপি) মায়ের মতো ওকে বড় করল, সম্মান দিল, তাকে ছাড়লেন। এর চেয়ে খারাপ কী হতে পারে। দলের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করলেন। শেষ মূহূর্ত পর্যন্ত দরকষাকষি করেছেন। এমন লোক সম্পর্কে কী বলব। তবে মানুষ এদের সম্মান করে না। যারা নীতি আঁকড়ে থাকে, তাদের লোকে সম্মান করে, যারা নীতি পরিত্যাগ করে, তাদের ছুঁড়ে ফেলে দেয়।