বিরল মস্তিষ্কের রোগে ভুগছে ১২ বছরের পার্থ, বাবার চিঠিতে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়ালেন মোদী
নয়াদিল্লি: ১২ বছরের পার্থর ভরসা হলেন নরেন্দ্র মোদী। গুজরাতের আমরেলির ছেলেটি দুরারোগ্য, বিরল মস্তিষ্কের রোগে ভুগছে, যার নাম চিকিত্সা পরিভাষায় সাবঅ্যাকিউট স্কেলেরোসিং প্যানেনসেফেলাইটিস (এসএসপিই)। তাঁর বাবার আবেদনে সাড়া দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ডিডি নিউজকে পার্থর বাবা বলেছেন, চার মাস আগে ওর অসুখটা ধরা পড়ে। আমরেলি, আমদাবাদের সব বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের দেখিয়েছি ছেলেকে। কিন্তু ছেলের অবস্থার কোনও বদলই হয়নি। একমাত্র ছেলেকে বাঁচাতে সব সঞ্চয়, সম্পত্তি, এমনকী স্ত্রীর গয়নাও বেচে দিয়েছি। শেষ ভরসা হিসাবে সাহায্য চেয়ে চিঠি দিয়েছিলাম প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রককে। কয়েকদিন বাদেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) থেকে চিঠি পান তাঁরা। এইমস-এ তাঁদের ছেলের নিখরচায় চিকিত্সার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, চিঠিতে সে কথাই জানানো হয়। পার্থর বাবা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ছেলের চিকিত্সায় সব রকমের আর্থিক সহায়তার আশ্বাস, মানসিক ভরসা দিয়েছেন। এখন আর্থিক সাহায্য তো আসছেই, মনের জোরও পাচ্ছি।
যদিও পার্থকে পুরোপুরি সুস্থ করে তোলার লড়াইটা খুবই কঠিন বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন ডিডি নিউজকে। ছেলেটির অবস্থা এখনও খুব সঙ্কটজনক, বলেছেন তাঁরা। এইমস-এর শিশুদের নিউরোলজি বিভাগের ডাঃ শেফালি গুলাটি বলেছেন, এটা এক ধরনের কঠিন মস্তিষ্কের রোগ। ওকে সম্ভাব্য যাবতীয় চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে। সমস্ত প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু তাঁর ছেলের যে চিকিত্সা হচ্ছে এবং সেটা পিএমও-র নির্দেশে, এটাই বিরাট ব্যাপার পার্থর বাবার কাছে। মোদীর কাছে কৃতজ্ঞতার শেষ নেই তাঁর।
প্রধানমন্ত্রীর মানবিক মুখের পরিচয় মিলেছে অতীতেও। বাড়ির কাছে রেল লাইন পেরিয়ে স্কুলে যেতে অসুবিধা হওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিল উন্নাওয়ের ১১ বছরের একটি ছেলে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রেলমন্ত্রকের তরফে চিঠি লিখে তাকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। হৃদরোগের অসুখের চিকিত্সার জন্য আর্থিক সাহায্য চেয়ে মোদীকে চিঠি দিয়েছিল আগ্রার আট বছরের মেয়ে তাইয়াবা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দ্রুত পদক্ষেপ করে তারও নয়াদিল্লির জি বি পন্থ হাসপাতালে সরকারি খরচে চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।