Venugopal Surrender : এভাবেই আত্মসমর্পণের সময় কিষেণজির ভাইয়ের কথা রেখেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী!
Venugopal Surrender Inside Story : এই ঘটনাগুলি ভূপতির উপর তীব্র মানসিক প্রভাব ফেলে। সূত্রের খবর, এই দুই আত্মসমর্পণই, বেণুগোপালের আত্মসমর্পণের একটি প্রধান কারণ হতে পারে।

সোমবার গভীর রাতে মহারাষ্ট্রের গড়ছিরৌলিতে ৬০ জন মাওবাদী সদস্য সহ পুলিশের কাছে অস্ত্রসমর্পণ করেন মাওবাদী নেতা বেণুগোপাল। তাও একেবারে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিসের উপস্থিতিতে। নকশাল কমান্ডার মাল্লুজুলা বেনুগোপাল রাও ওরফে ভূপতি হলেন কিষেণজিরই ভাই। কখনও ভূপতি, কখনও রাজন, কখনও বিবেক আবার কখনও অভয় নামে পরিচিত ছিলেন। এদিন মাওবাদী নেতা বেণুগোপালের সহযোগী নকশালপন্থীরা প্রতীকীভাবে তাদের রাইফেলগুলি মুখ্যমন্ত্রী ফড়ণবীসকে হস্তান্তর করে । এভাবে আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের পর মুখ্যমন্ত্রী তাদের ভারতীয় সংবিধানের কপি উপহার দেন। অস্ত্র সমর্পণ করে নকশালপন্থীরা সংবিধানের প্রতি আনুগত্যের শপথ নেন। এই আত্মসমর্পণের পর ফড়ণবীস সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, "আমরা মাওবাদীদের চাকরি এবং ঘরবাড়ি দিয়েছি। আমরা তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করেছি। আজ, অনেক মাওবাদী ৫০,০০০ টাকা বেতনের চাকরিতে কাজ করছে। এর ফলে মাওবাদীরা ভরসা করছে যে, মহারাষ্ট্রে তাদের সঙ্গে ভালো আচরণ করা হবে।"
সূত্রের খবর, গত সেপ্টেম্বরেই অস্ত্রসমর্পণের ইঙ্গিত দিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন বেণুগোপাল। তারপর থেকেই জল্পনা ছিল আত্মসমর্পণ করতে পারেন কিষেণজির ভাই। মনে করা হচ্ছিল হয়ত তেলঙ্গানা পুলিশের কাছে ধরা দেবেন তিনি। কারও কারও ধারণা ছিল ছত্তীসগড়ের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন। তবে, ভূপতি মহারাষ্ট্র পুলিশের কাছেই আত্মসমর্পণ করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই সঙ্গে শর্ত রাখেন,আত্মসমর্পণ করলে তিনি কেবল মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কাছেই আত্মসমর্পণ করবেন। ভূপতির আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্তের পর, মুখ্যমন্ত্রীও তার সমস্ত বড় অনুষ্ঠান বাতিল করেন। ভূপতির শর্ত রাখতে, মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে তিনিই গড়ছিরৌলিতে পৌঁছেন।
এর আগে, জানুয়ারিতে, ভূপতির স্ত্রী, বিমলা সিদাম, মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। গত মাসে, ভূপতির শ্যালিকা, পদ্মাবতী, তেলঙ্গানা পুলিশের কাছে অস্ত্র রেখে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। এই ঘটনাগুলি ভূপতির উপর তীব্র মানসিক প্রভাব ফেলে। সূত্রের খবর, এই দুই আত্মসমর্পণই, বেণুগোপালের আত্মসমর্পণের একটি প্রধান কারণ হতে পারে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন ধরে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ভূপতি এবং তার সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনা চলছিল। পুলিশ এবং মধ্যস্থতাকারীরা তাদের বোঝায়, সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করলে তারা কী কী সুবিধে পেতে পারে। সেই সঙ্গে সহিংসতার পথ ছেড়ে, অস্ত্র ত্যাগ করে, সমাজের মূলধারায় ফেরার বিষয়ে ভূপতি ও তাঁর সহযোদ্ধাদের বোঝাতে সক্ষম হল মহারাষ্ট্র পুলিশ। কিন্তু আত্মসমর্পণের আগে, ভূপতির একটি শর্ত ছিল। তিনি বলেছিলেন, আত্মসমর্পণ করলে তিনি কেবল মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কাছেই আত্মসমর্পণ করবেন।
আত্মসমর্পণের কয়েকদিন আগে, ভূপতি একটি বার্তা দিয়েছিলেন। তাতে তিনি বুঝিয়ে দেন,পরপর সহকর্মীদের মৃত্যুতে তিনি বিপর্যস্ত। সেই সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান এবং নকশালপন্থীদের মৃত্যু ইঙ্গিত দেয় সংগ্রামের পথ ব্যর্থ হয়েছে। তখনই তিনি ঘোষণা করেন যে অস্ত্র রেখে কথোপকথনের পথ গ্রহণ করাই বাঞ্ছনীয়। জানা গিয়েছে, মাওবাদীরা ৫৪টি অস্ত্র জমা দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সাতটি AK47, ছয়টি SLR এবং ছয়টি INSAS রাইফেল।























