কীভাবে ফ্ল্যাট ভাড়া, কেন গ্যাংস্টারদের সাহায্য? নিউটাউনকাণ্ডের তদন্তে পঞ্জাব যাচ্ছেন গোয়েন্দারা
একাধিক সূত্রের খোঁজে পঞ্জাব যাচ্ছেন বিধাননগর পুলিশের গোয়েন্দারা।
কলকাতা: নিউটাউন শ্যুটআউটের তদন্তে পঞ্জাব যাচ্ছেন গোয়েন্দারা। আজ কিংবা কাল পঞ্জাব যাচ্ছেন বিধাননগর পুলিশের গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, ভরত কুমার-সুমিত কুমারকে জেরা করবেন গোয়েন্দারা। কীভাবে ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়া দেওয়া হয়েছিল? কেন গ্যাংস্টারদের সাহায্য করা হল? এছাড়াও একাধিক প্রশ্নের জবাব চাইতে পারেন গোয়েন্দারা। একাধিক সূত্রের খোঁজে পঞ্জাব যাচ্ছেন বিধাননগর পুলিশের গোয়েন্দারা।
বুধবার ভরদুপুরে গুলিবৃষ্টিতে কেঁপে ওঠে, নিউটাউনের সাপুরজির সুখবৃষ্টি আবাসন। কয়েক মিনিটেই যুদ্ধক্ষেত্রে বদলে যায় শান্ত আবাসন চত্ত্বর।শিরোনামে উঠে আসে আবাসনের একটা ঘর। B-153 নম্বর টাওয়ারের, ফ্ল্যাট নম্বর 201।এনকাউন্টারের পর এই ফ্ল্যাটের ভিতর থেকেই মেলে, পঞ্জাবের গ্যাংস্টার জয়পাল ভুল্লার ও তাঁর সঙ্গী যশপ্রীত সিং খাড়ারের গুলিতে ঝাঁঝরা হওয়া দেহ।
জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন ১৫ মিনিটেই শেষ হয় নিউটাউনে এসটিএফের অপারেশন। বুধবার দুপুর ৩:৩৩ নাগাদ গ্যাংস্টারদের ফ্ল্যাটে ঢোকে এসটিএফ।৩:৪৩ বি-১৫৩ নম্বর ফ্ল্যাটে শুরু অপারেশন। ৩:৪৮ সরানো হল শ্যুটআউটে আহত অফিসারকে। বিকেল ৪টে নাগাদ অপারেশনর পর আবাসন ঘিরে ফেলে পুলিশ।
কীভাবে হল, মৃত দুই গ্যাংস্টারের বং কানেকশন? কী করেই বা তারা নিউটাউনের ফ্ল্যাট ভাড়া পেল? রাজ্য পুলিশের এসটিএফ সূত্রে খবর, দুই গ্যাংস্টারকে লজিস্টিক সাপোর্ট দিত ভরত কুমার নামে লুধিয়ানায় ধৃত ব্যবসায়ী। তাঁর মাধ্যমেই কলকাতায় গা ঢাকা দিয়েছিল গ্যাংস্টার জয়পাল ভুল্লার ও যশপ্রীত সিং খাড়ার। কিন্তু কীভাবে? সুমিত কুমার নামে এক ব্যক্তির নথি ব্যবহার করে, গ্যাংস্টারদের জন্য ফ্ল্যাট ভাড়া নেয় ভরত। আর এই ভরতের সঙ্গেই কলকাতার যোগ পুরনো। যা ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। কলকাতার চারু মার্কেট এলাকায় ভরত কুমারের শ্বশুরবাড়ি।
উল্লেখ্য, গত শনিবার মোহালি থেকে সুমিত কুমারকে আটক করে পঞ্জাব পুলিশ। গ্যাংস্টারদের সঙ্গে সুমিত কুমারের কী যোগ ছিল, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এক বন্ধু পুলিশকর্মীর কাছে থেকে তাঁর আইডি কার্ড কোনওভাবে জোগাড় করে তা ভরতকে দেন সুমিত। আর সেই আইডি কার্ড ব্যবহার করেই কলকাতা আসার পথে একের পর এক টোলপ্লাজা পেরিয়ে যায় দুই গ্যাংস্টার ও ভরত কুমার।