উদ্বেগের মাঝেই রাজ্যে সদ্যোজাত শিশুর করোনা জয়
সময়ের আগেই ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুর শ্বাসকষ্ট, প্রথমেই চিন্তায় ফেলে দেয় চিকিৎসকদের। কোভিড টেস্ট করালে রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে সদ্যোজাত শিশুর করোনা জয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত ২৫ মে, কোভিড আক্রান্ত এক শিশুর জন্ম হয়। আটদিনের মাথায় করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফিরল সে।
মায়ের পাশে নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে একরত্তি। দেখে বোঝার জো নেই জন্মের পরই কত বড় লড়াই লড়তে হয়েছে। মাতৃজঠরেই শরীরে হানা দিয়েছিল প্রাণঘাতী ভাইরাস। টানা আটদিনের কঠিন লড়াই সেরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরল করোনাজয়ী শিশু। হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত ২৫ মে মাদারিহাটের জয়বীরপাড়া চা বাগান এলাকার বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত জুনিকা টোপ্পো হাসপাতালে ভর্তি হন। অন্তঃসত্ত্বা জুনিকার অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। সেদিনই কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি।
কিন্তু, সময়ের আগেই ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুর শ্বাসকষ্ট, প্রথমেই চিন্তায় ফেলে দেয় চিকিৎসকদের। কোভিড টেস্ট করালে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর যমে-মানুষে টানাটানি। টানা বেশ কয়েকদিনের দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই। হাসপাতাল সূত্রে খবর, একদিকে ওজন কম, অন্যদিকে অক্সিজেন স্যাচুরেশন নিয়ে ক্রমশ বাড়তে থাকে উদ্বেগ। মেডিক্যাল টিম গঠন করে করোনা আক্রান্তদের জন্য সংরক্ষিত, নিউ বর্ন কেয়ার ইউনিটে রেখে শুরু হয় চিকিৎসা। ধীরে ধীরে চিকিৎসায় সাড়া দেয় শিশুটি। মাত্র ৫ দিন পর ফের করোনা পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তারপরও কয়েকটা দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। মঙ্গলবার সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে মায়ের সঙ্গে বাড়ি ফিরল ছোট্ট শিশু।
করোনাজয়ী শিশুর বাবা অমন ওঁরাও বলেন, আমার স্ত্রী আক্রান্ত ছিলেন, জন্মগ্রহণের সময় থেকে শিশু আক্রান্ত ছিল, আমরা খুশি, চিকিৎসকদের ধন্যবাদ। চিকিৎসকদের আশঙ্কা করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লে, আরও বেশি আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা। এই পরিস্থিতিতে করোনা আক্রান্ত সদ্যোজাতকে বাড়ি ফেরাতে পেরে খুশি আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের সুপার চিন্ময় বর্মন বলেন, খুব ভালো লাগছে, কোভিড নিয়ে জন্মানো শিশুকে সুস্থ করে পরিবারের হাতে তুলে দিতে পেরেছি। আমরাও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলাম। সবার চেষ্টায় এই সাফল্য, সবাইকে ধন্যবাদ।