Fresh Oil Extracted:কৃষ্ণা-গোদাবরী অববাহিকায় গভীর সমুদ্র প্রকল্প থেকে প্রথম তেল উত্তোলন ভারতের
Bay Of Bengal:নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহেই দুরন্ত 'সাফল্য।' গত কাল অর্থাৎ ৭ জানুয়ারি, অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়া উপকূল থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রের একটি প্রকল্প থেকে প্রথম বার তেল উত্তোলন করল ভারত।
নয়াদিল্লি: নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহেই দুরন্ত 'সাফল্য।' গত কাল অর্থাৎ ৭ জানুয়ারি, অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়া উপকূল থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রের একটি প্রকল্প থেকে প্রথম বার তেল (Fresh Oil Extraction) উত্তোলন করল ভারত। এদিন সেই খবর জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস বিষয়ক মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরি (Union Minister Hardeep Singh Puri)। কৃষ্ণা-গোদাবরী অববাহিকার (Krishna Godavari Basin) এই প্রকল্পে তেল উত্তোলনের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬-১৭ সালে। মাঝে কোভিড-অতিমারীতে সেই কাজে কিছুটা ঢিলেমি আসে। অবশেষে সাফল্যের স্বাদ।
কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?
অতিমারীর সময়ে কাজ যে কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে সে কথা মেনে নিয়েও হরদীপ সিংহ পুরি বলেন, 'ওখানে যে ২৬টি কুপ রয়েছে, তার মধ্যে অন্তত ৪টি এর মধ্যেই সক্রিয় বলে আমার ধারণা।' কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিশ্বাস, 'ওখান থেকে যে আমরা শুধু গ্যাসের জোগান পাব, তা নয়। মে এবং জুন মাসের মধ্যে প্রত্যেক দিন গড়ে ৪৫ হাজার ব্য়ারেল তেলও উত্তোলন করতে পারব। ' কেন্দ্রের দাবি, এমনটা বাস্তবায়িত হলে ভারতের মোট অপরিশোধিত তেল উৎপাদনের ৭ শতাংশ আসবে সেখান থেকে। গ্যাস উৎপাদনের ৭ শতাংশও সেখান থেকেই আসার কথা বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই নিয়ে ওএনজিসি-ও একটি পোস্ট দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আপাতত যা খবর, তাতে ওই অববাহিকা থেকে তেল ও গ্যাস উত্তোলনের 'ফেজ থ্রি'-র কাজ চলছে। চলতি বছরের জুনের মধ্যে এই পর্যায়ের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে, ৯৮/২ শীর্ষক এই প্রকল্পটি থেকে ওএনজিসি-র মোট তেল ও গ্যাস উৎপাদন বেড়ে যথাক্রমে ১১ এবং ১৫ শতাংশে পৌঁছে যাবে। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক ও গ্রাহক দেশ হিসেবে ভারত বরাবর, এই অত্যন্ত জরুরি পণ্যের জন্য বাইরের দেশের উপর নির্ভরশীল। ঘরোয়া বাজারের চাহিদা মেটাতে ভারতকে বাইরের দিকে তাকিয়ে থাকতেই হয়। সে দিক থেকে নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহের শেষে যে সাফল্যের খবর এসেছে, তা সার্বিক ভাবে উৎসাহের জোয়ার তৈরি করবে দেশের মানুষের মধ্যে।
বিশদ...
কেন্দ্রের আশা ছিল, কৃষ্ণা গোদাবরী অববাহিকার এই প্রকল্প থেকে তেল উৎপাদন ঠিকমতো শুরু হলে ভারতের বছরে দশ হাজার কোটি টাকারও বেশি আমদানি খরচ বাঁচবে। পাশাপাশি, ONGC পেট্রো-রাসায়নিক প্রকল্পের জন্য ২০২৮-২০৩০ সালের মধ্যে মূলধনী খাতে ১ লক্ষ কোটি টাকা খরচের পরিকল্পনা নিয়েছে। দুটি আলাদা প্রকল্পে এই টাকা খরচ করা হবে। সব মিলিয়ে কৃষ্ণা-গোদাবরী অববাহিকা থেকে তেল উত্তোলনের গোটা প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করে পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক। সেই পথেই আশার প্রথম আলো।
আরও পড়ুন:পুরনো মামলায় নিশানায় শাহজাহান! হাইকোর্টে মামলা শুভেন্দুর