OIC Kashmir Issue: OIC-তে কাশ্মীর ইস্যু তুলল তুরস্ক! বিপুল সাহায্যের এই প্রতিদান?
Turkey on JK: ইসলাম ধর্মাবলম্বী দেশগুলির যৌথ মঞ্চ OIC. এই মঞ্চে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আলোচনা বরাবর না পসন্দ ভারতের।
নয়াদিল্লি: ভয়াবহ ভূমিকম্পে ধূলিসাৎ হয়েছে তুরস্ক। নিমেষের মধ্যে বিপুল ত্রাণ নিয়ে সেখানে হাজির হয়েছিল ভারত। ভূমিকম্পের বিপদের সময় তুরস্কের পাশে দাঁড়াতে শুরু করেছিল 'অপারেশন দোস্ত'। সেই কাজকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছিল তুরস্ক। তারপরে Organisation of Islamic Cooperation (OIC)-তে জম্মু কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে কথা তুলল তুরস্ক।
ইসলাম ধর্মাবলম্বী দেশগুলির যৌথ মঞ্চ OIC. এই মঞ্চে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আলোচনা বরাবর না পসন্দ ভারতের। এই ক্ষেত্রেও এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ভারত। ভারত এর আগেও জানিয়েছেন, OIC-বরাবর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলায়, যা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
UN-এ ভারতের দূত সীমা পূজানি বিষয়টির প্রসঙ্গ তুলে তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি জানান, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই সংক্রান্ত বিষয়ও ভারতের অভ্যন্তীরণ বিষয়। পাকিস্তান ভারতের জমি বেআইনি ভাবে দখল করে রেখেছে। OIC-তাদের সদস্য পাকিস্তানকে বলুক রাষ্ট্র-সমর্থিত সন্ত্রাস বন্ধ করে ভারতকে দখল করা কাশ্মীরের অংশ ফিরিয়ে দিতে, OIC-কে এমনই পরামর্শ দিয়েছে ভারত।
অপারেশন দোস্ত:
৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্কে ভূমিকম্পের পরেই ৭ ফেব্রুয়ারি মোদীর নির্দেশে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর বিশেষ দলকে সে দেশে পাঠানো হয়। মোট ৩ টি এনডিআরএফ-এর টিম গিয়েছিল। পাঠানো হয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের দলকেও। বহু সামগ্রী, সাহায্যের ত্রাণ, মেডিক্যাল বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নিয়ে বায়ুসেনার বিমানে সেনার বিশেষ একাধিক টিম রওনা হয় তুরস্কের উদ্দেশে। প্রায় দু’সপ্তাহ উদ্ধারকাজ চালানোর পর দেশে ফিরে এসেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, 'যে ভাবে আমাদের সেনা তুরস্কে কাজ করেছে, তা গোটা ভারতকে গর্বিত করেছে। সারা বিশ্ব ভারতকে কেবল আত্মনির্ভর দেশ হিসাবেই চেনে না। আত্মমগ্ন না হয়েই যে ভারত কাজ করে, আজ সকলেই জানে। বিশ্বে যখনই সঙ্কট দেখা দেয় ভারত সর্বদা প্রথম দেশ, যারা এগিয়ে যেতে প্রস্তুত থাকে।'
কবে ভূমিকম্প:
গত ৬ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার ভয়াবহ ভূমিকম্পের একাধিক আঘাত আছড়ে পড়েছিল তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তের কাছে। তুরস্কের দক্ষিণভাগ সহ কার্যত গোটা দেশ ও সিরিয়ার এক বড় অংশ একাধিক ভূমিকম্পের জেরে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। প্রথমে ৭.৮ , তারপর ৭.৬ ও যার পরে একে একে আরও তুলনামূলক কম তীব্র ভূমিকম্প আছড়ে পড়েছিল। এখনও পর্যন্ত শেষখবর পাওয়া পর্যন্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৪৭ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: মোদিকে চিঠি ৯ বিরোধী দলের, তালিকায় রয়েছে TMC, নেই কংগ্রেস