Pahalgam Attack : 'ওরা অস্ত্র আনেনি, সাপ্লাই করেছিল শালওয়ালা, ক্যামেরাওয়ালারাই?'বিস্ফোরক দাবি নিহত শুভমের স্ত্রীর
সেখানে কেউ তাদের অস্ত্র সরবরাহ করেছিল বৈসরন উপত্যকাতেই। তাহলে কি স্থানীয় ব্যবসায়ী, লোকজনের মধ্যেই লুকিয়ে জঙ্গির গুপ্তচর ?

নয়াদিল্লি : তাঁদের সামনেই, তাঁদের স্বামীদের হিন্দু বলে আলাদা করা হয়েছে। তাঁদের সামনেই একেবারে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয়েছে! সেই হামলার ভিডিও রেকর্ডিং অবধি করা হয়েছে! একগ্রাস খাবার মুখে নিয়েই প্রাণ চলে গিয়েছে স্বামী শুভম দ্বিবেদীর। এখনও ঘা দগদগে। স্বামী চলে যাওয়ার পর শোকে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। এখন আস্তে আস্তে মনে পড়ছে এমন অনেককিছু যা সত্যিই সন্দেহজনক। শিরদাঁড়ায় শীতল স্রোত বইয়ে দেওয়ার মতো। ঐশ্বন্যা দ্বিবেদীর কথায় এখন শুধুই আতঙ্ক। আর একের পর এক সন্দেহ। তাঁর দাবি, সন্ত্রাসবাদীরা সঙ্গে করে একে-৪৭ বন্দুক নিয়ে আসেনি, বরং সেখানে কেউ তাদের অস্ত্র সরবরাহ করেছিল বৈসরন উপত্যকাতেই। তাহলে কি স্থানীয় ব্যবসায়ী, লোকজনের মধ্যেই লুকিয়ে জঙ্গির গুপ্তচর ?
একটি নিউজ চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলার সময় ঐশ্বন্যা জানান, বৈসরনে ওঠার আগেই শুভম ঘোড়ার মালিককে জিগ্যেস করেন, উপরে নেটওয়ার্ক আছে কিনা। তখন ঘোড়ার সহিস বলেছিলেন পুরোনেটওয়ার্ক আছে। এখন ঐশ্বন্যার মনে হচ্ছে, যদিএকবার সে বলত, নেটওয়ার্ক নেই, তাহলে সেখানে যেতাম না। তিনি জানান, সন্ত্রাসবাদী হামলা না হওয়া পর্যন্ত কাশ্মীরে নিরাপদই বোধ করছিলেন তাঁরা। মনে সন্দেহ দানা বাঁধেনি। চারপাশে এত পর্যটক। এত ভিড়। এর মধ্যে যে তলায় তলায় চক্রান্ত চলছিল কে বুঝবে !
ঐশ্বন্যা আরও জানান, 'আমরা একটু একটু দূরত্বে ভারতীয় সেনার জওয়ানদের দেখতে পাচ্ছিলাম উপরে ওঠার সময়। তাই আমরা আশেপাশের মানুষদের কথাতেও সন্দেহ করিনি। এখন আমার মনে পড়ছে, তাদের কথার মধ্যে সন্দেহজনক অনেককিছু ছিল। তারা জিগ্যেস করছিল কারা কারা সঙ্গে এসেছে। জোড়ায় জোড়ায় চলতে বলেছিল। '
ঐশ্বন্যার দাবি, হামলাকারীরা সাধারণ জিন্স পরে ছিল । তাদের কাছে কোন অস্ত্র ছিল না। তাদের অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছিল ওখানেই। সেখানে যারা শুটিং, শাল বিক্রি করছিল, সম্ভবত তারাই অস্ত্র সরবরাহ করেছে।'
নিহত শুভম দ্বিবেদীর স্ত্রী জানিয়েছেন, ' একজন লোক সেখানে একাই ভেড়া চরাচ্ছিল। এত বড় মাঠে সে একা ভেড়া চরাচ্ছিল, কে জানে। আমি জানি না সেও সন্দেহজনক কিনা। সে পুরোপুরি ঢাকা পোশাক পরে ছিল। কে জানে সেই পোশাকের আড়ালে কিছু লুকিয়ে রেখেছিল কিনা? '
তিনি বলেন, "আমাদের পরিবারের লোকেরা উপরে যেতে ভয় পাচ্ছিল। কিন্তু ঘোড়ার মালিক তাদের বলেছিল উপরে যান, খুব সুন্দর। এ নিয়ে ঘোড়ার মালিকের সঙ্গে বেশ বিতর্ক হয়েছিল। আমার শ্বশুর বলেছিলেন, তুমি পুরো টাকা নিয়ে নাও, কিন্তু আমরা সেখানে যাব না। তখন সে বলতে লাগল টাকার কোনও কথা নেই, আর তারপর ১০ মিনিট তর্কাতর্কির পর আমরা উপরে গেলাম।"






















