Shehbaz Sharif: ‘ফজরের নমাজ শেষ হওয়ার অপেক্ষা করছিলাম, তার আগেই মুহুর্মুহু ব্রহ্মোস ছোড়ে ভারত’, বললেন পাক-প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ
India-Pakistan Conflict: ভারতের দেখাদেখি সংঘাত পর্ব নিয়ে এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক মহলে দরবার করছে পাকিস্তানও।

বাকু: কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভারত আঘাত হানে বলে দাবি করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। তাঁর দাবি, দেশের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে আঘাত হানে ভারত। ছোড়া হয় ‘ব্রহ্মোস’ ক্ষেপণাস্ত্র। রাওয়ালপিণ্ডি বিমানবন্দরেও ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ে বলে দাবি করেছেন তিনি। (Shehbaz Sharif)
ভারতের দেখাদেখি সংঘাত পর্ব নিয়ে এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক মহলে দরবার করছে পাকিস্তানও। নিজে আজেরবাইজান পৌঁছে গিয়েছেন শেহবাজ। সেখানে সহযোগী দেশগুলির সামনে বক্তৃতা করেন তিনি। জানান, সকালের নমাজ শেষ হলে ১০ মে ভারতের উপর আঘাত হানার পরিকল্পনা ছিল আসিম মুনির নেতৃত্বাধীন পাক সেনার। কিন্তু তার আগে, ৯-১০ মে রাতে ভারতের তরফ থেকে আঘাত নেমে আসে। (India-Pakistan Conflict)
শেহবাজকে বলতে শোনা যায়, “৯-১০ মে রাতে আমরা ঠিক করি, ভারতের আগ্রাসনের সঠিক জবাব দেব। ফজরের নমাজ শেষ হলে, ভোর ৪.৩০টেয় ভারতকে শিক্ষা দেব বলে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু ঘড়ির কাঁটা ৪.৩০টে ছোঁয়ার আগেই ভারতের তরফে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ধেয়ে আসে। ব্রহ্মোস ব্যবহার করে ওরা, পাকিস্তানের একাধিক এলাকাকে নিশানা করে। রাওয়ালপিণ্ডির বিমানবন্দরও ছিল তার মধ্যে।”
Pakistan PM Shehbaz Sharif admits that India hit their airbases with BrahMos before 'Aand forces' could act.
— BALA (@erbmjha) May 29, 2025
Op Sindoor hit so hard, he had no choice but to admit it publicly 🗿 pic.twitter.com/Dl7cWr2nUx
শেহবাজের দাবি, ভোর হওয়ার আগে ভারত থেকে মুহুর্মুহু দীর্ঘপাল্লার ‘ব্রহ্মোস’ ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায়। সাতসকালে তাঁকে সেই খবর দেন মুনির। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এই মুহূর্তে যুদ্ধবিরতি চলছে। কিন্তু সংঘাতপর্বে বার বার খবরের শিরোনামে উঠে আসেন মুনির। তাঁর পদোন্নতিও হয়েছে। এই মুহূর্তে ফিল্ড মার্শাল পদে আসীন রয়েছেন।
পাকিস্তানের রাওয়ালপিণ্ডিতে অবস্থিত নূর থান বায়ুসেনা ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার কথা ইতিমধ্যেই জানিয়েছে ভারত। স্যাটেলাইট ছবিতেও ক্ষয়ক্ষতি ধরা পড়েছে। ভারতের তরফে জানানো হয়, পশ্চিম সীমান্তে বসতি এলাকা লক্ষ্য করে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে পাকিস্তান, যার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হয়।
রাওয়ালপিণ্ডির নূর খান বিমানঘাঁটিটি পাক সেনার সদর দফতর থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে অবস্থিত। ওই বিমানঘাঁটিতে পাক সেনার অত্য়াধুনিক যুদ্ধবিমানগুলি রাখা থাকে, যেমন, Lockheed C-130 Hercules, Ilyushin II-78 Refuellers. স্যাটেলাইট ছবিতে ধ্বংসপ্রাপ্ত বিমানঘাঁটিতে পাক সেনার দু’টি যানও চোখে পড়ে। নূর খান বিমানঘাঁটির পাশাপাশি, রফিকুল, মুরিদ, রহিম ইয়ার খান, সুক্কুর এবং চুনিয়ানে পাক সেনার ঘাঁটিতেও আঘাত হানে ভারত। স্কারডু, ভোলারি, জাকোবাবাদ এবং সারগোদার বায়ুসেনাঘাঁটিরও ক্ষতি হয়।
ভারতের সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, Su-30MKI যুদ্ধবিমান থেকে অব্যর্থ লক্ষ্যে প্রায় ১৫টি ‘ব্রহ্মোস’ ছোড়ে ভারত। রাশিয়ার সহযোগিতায় তৈরি ওই ক্ষেপণাস্ত্র ৩০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্য়বস্তূতেও অব্যর্থ আঘাত হানতে সক্ষম।






















