NEET Scam: ৭০০ পড়ুয়ার থেকে ৩০০ কোটি টাকা, নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসে 'পাখির চোখ' ছিল এমনই! ভাইরাল ভিডিওয় হইচই
Paper Leak Mafia Viral Video:লক্ষ্য ছিলেন ৭০০ পড়ুয়া আর তাঁদের মাধ্যমে ৩০০ কোটি টাকা উপার্জন! নিট-ইউজি প্রশ্নপত্র দুর্নীতির ব্যাপকতা ছিল এমনই, দাবি বিজেন্দর গুপ্তার।
কলকাতা: লক্ষ্য ছিলেন ৭০০ পড়ুয়া আর তাঁদের মাধ্যমে ৩০০ কোটি টাকা উপার্জন! নিট-ইউজি প্রশ্নপত্র দুর্নীতির ব্যাপকতা ছিল এমনই, দাবি বিজেন্দর গুপ্তার (Paper Leak Mafia Viral Video)। একটি স্টিং অপারেশনে এমনই বলতে শোনা গিয়েছে বিজেন্দরকে। কিন্তু কে এই বিজেন্দর? অতীতে একাধিক প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এঁর বিরুদ্ধে। দু'বার গ্রেফতারও হয়েছেন, তবে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যান। তাঁরই গত মার্চের একটি ভিডিও হালে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে বিজেন্দরকে পূর্বাভাস করতে শোনা যাচ্ছে, নিট-ইউজি-র প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে চলেছে। ভিডিও-র সত্যতা এবিপি আনন্দ যাচাই করেনি।
বিশদ...
২০২৩ সালে ওডিশা স্টাফ সিলেকশন কমিশনের পরীক্ষায় যে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল বলে অভিযোগ, তাতেও বিজেন্দর জড়িত ছিলেন বলে তদন্তকারীদের সন্দেহ। শুধু তাই নয়। বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যপ্রদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনাতেও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল ওঠে। প্রায় ২৪ বছর ধরে নানা ধরনের প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এই বিজেন্দর গুপ্তার বিরুদ্ধে। 'অভিজ্ঞ' পেশাদার হিসেবে তাঁর স্পষ্ট মত, এই ধরনের কারবারে নেটওয়ার্কিং অত্যন্ত জরুরি। তাঁর আরও দাবি, এবার নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁস কাণ্ডে ৭০০ জন পড়ুয়াকে 'টার্গেট' করা হয়, চক্রের লক্ষ্য ছিল ২০০-৩০০ কোটি টাকা। এই প্রসঙ্গে সঞ্জীব মুখিয়ার কথাও শোনা গিয়েছে বিজেন্দর গুপ্তার মুখে। তাঁকে নিয়ে একটি স্টিং অপারেশনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে হালেই। সেই ভিডিওয় শোনা যাচ্ছে, নিট প্রশ্নপত্র ফাঁসের অন্যতম অভিযুক্ত সঞ্জীবকে তিনি চিনতেন। বিশাল চৌরাসিয়া নামে হালে যে গ্রেফতার হয়েছে, তাকেও জানতেন বিজেন্দর। ভাবলেশহীন মুখে তিনি বলছেন, 'জেলে যাবে, তার পর জামিন যাবে, তার পর আবার খেলা শুরু হয়ে যাবে।'
পোড়খাওয়া পেশাদারের কথায়, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েই থাকে। কিন্তু কিছু গণ্ডগোল হলে হইচই শুরু হয়। তবে একই সঙ্গে তাঁর মত, 'অর্থনৈতিক অপরাধ সংক্রান্ত ইউনিট যে পথে তদন্ত করছে, সেটাই সঠিক। এনটিএ এসব বুঝবে না।' প্রশ্নপত্র-ভর্তি বাক্সগুলি বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার সময় কী ভাবে তা ভাঙা হয়, কী ভাবে কালোতালিকাভুক্ত সংস্থা বরাত পায়, সব কিছু ওই ভিডিওয় বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। তবে কোনও একটি পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় না। প্রশ্নপত্র ফাঁসের নানা কৌশল রয়েছে, রয়েছে বহু স্তর। সব মিলিয়ে একেবারে পুরোদস্তুর একটি সিস্টেম এটি। অন্তত তেমনই বোঝা যাচ্ছে বিজেন্দর গুপ্তার ভিডিও থেকে।
আরও পড়ুন:মুখ ঢাকা, বাইকে চেপে এসে পর পর গুলি, খড়গপুরে গুলিবিদ্ধ তৃণমূলকর্মী !