Black Fungus Signs: মাথা ব্যথা, নাক বন্ধের মতো অস্বস্তি এড়িয়ে যাচ্ছেন? এগুলোই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ, বলছেন চিকিৎসক
কোভিড পরবর্তী এই উপসর্গগুলো থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
নয়াদিল্লি: কোভিড থেকে সেরে উঠেও কি মাথা ব্য়থা সারছে না? অথবা মুখের একপাশে ফোলা অনুভব করছেন? তাহলে এড়িয়ে যাবেন না। দেরি না করে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। শুধু তাই নয়, চোখে-মুখে বিবর্ণতা বা মুখের কোনও অংশে অনুভূতি নষ্ট হলেও চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা জরুরি। করোনা আবহেই দেশ জুড়ে ভয় ধরাচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। এই পরিস্থিতিতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের কিছু নতুন উপসর্গের কথা জানালেন দিল্লির এমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া।
ডাঃ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, 'নাক বন্ধ হওয়া আসা বা দাঁতের গোড়া আলগা হওয়াও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের অন্যতম প্রথম দিকের উপসর্গ। কিন্তু কোনও ব্যক্তি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত কি না, তা কী করে বোঝা যাবে? এমস কর্তা জানিয়েছেন, সাইনাসে এক্স-রে বা সিটি স্ক্যান কিংবা নাকের এন্ডোস্কপি করা যেতে পারে। পিসিআর পদ্ধতিতে রক্ত পরীক্ষা করেও বোঝা যায় কোনও ব্যক্তি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত কি না।
যদিও চিকিৎসকরা বলছেন, সুস্থ মানুষ রাস্তায় হাঁটছে আর তাকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ধরে নিল, এটা সম্ভব নয়। মিউকরমাইকোসিস দুর্বল শরীরেই হানা দেয়। অর্থাত্ এখানেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কোমর্বিডিটি। ভয়ঙ্কর ভাবে ইমিউনো সাপ্রেশন না হলে সহজে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শরীর-কব্জা করবে না। শরীর অন্য কোনও কারণে দুর্বল হলে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এক্কেবারে তলানিতে ঠেকলেই হতে পারে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের আক্রমণ।
সমস্ত রাজ্যকে চিঠি পাঠিয়ে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে ইতিমধ্যেই মহামারী আইন-এর আওতাভুক্ত করেছে কেন্দ্র সরকাপ। রাজস্থান, মহারাষ্ট্রসহ বেশ কিছু রাজ্যও মহামারী ঘোষণা করেছে এই সংক্রমণকে। পশ্চিমবঙ্গেও এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস মোকাবিলায় নতুন গাইডলাইন জারি করেছে এ রাজ্য।
স্বাস্থ্য দফতরের নতুন গাইডলাইনে উল্লেখ করা হয়েছে
- সংক্রমণ এড়াতে মাস্কের সঠিক ব্যবহার জরুরি।
- বিশেষ করে ধুলোবালিময় এলাকা বা নির্মাণস্থলে গেলে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে।
- বাগানে বা মাটি নিয়ে কাজ করলে, জুতো, লম্বা ঝুলের ট্রাউজার, ফুল স্লিভ শার্ট এবং গ্লাভস পরা জরুরি।
- কোভিড-পরবর্তী ও ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে ব্লাডে গ্লুকোজের মাত্রায় নজর রাখতে হবে।
- স্টেরয়েড, অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ ব্যবহার সতর্কতা জরুরি।