PM Modi New Cabinet: কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদল, নতুন শিক্ষামন্ত্রী হতে পারেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া
গত বছর কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া
নয়াদিল্লি: মোদির মন্ত্রীসভায় বড়সড় রদবদল। এবার শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। এমনটাই খবর সূত্রের। সূত্রের খবর, আজই শপথ নেবেন তিনি। উল্লেখ্য, গত বছর কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। সঙ্গে মধ্যপ্রদেশের একাধিক বিধায়ক যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। আর তাতে মধ্যপ্রদেশে মুখ থুবড়ে পড়ে কংগ্রেস সরকার।
রদবদলের আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে আজই ইস্তফা দেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক। আজ সন্ধেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ। সন্ধে ৬টায় রাষ্ট্রপতি ভবনে নতুন মন্ত্রীদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। সূত্রের খবর, নতুন মন্ত্রিসভার সম্ভাব্য সদস্যদের নিয়ে এদিন বেলায় নিজের বাসভবনে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক-এক করে সদস্যরা পৌঁছন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। সেই তালিকায় ছিলেন, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, পশুপতি পারস, প্রীতম মুণ্ডে, হীনা গাভিট, ভূপেন্দ্র যাদব, মীনাক্ষি লেখি। ছিলেন রাজ্যের দুই সাংসদ শান্তনু ঠাকুর, নিশীথ প্রামাণিকও। বুধবার সন্ধেয় নবগঠিত মোদি মন্ত্রিসভায় শপথ নিতে চলেছেন মোট ৪৩ জন। বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখে তিন বছর পরের লোকসভার আগে নতুনভাবে নিজেদের মন্ত্রিসভা পুর্নগঠন করছে বিজেপি সরকার।
২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতা দখলের পর এটাই মোদি মন্ত্রিসভার প্রথম সম্প্রসারণ। সূত্রের দাবি, নতুন মন্ত্রিসভায় ১৭ থেকে ২২ নতুন মুখ দেখা যেতে পারে। নতুন মন্ত্রিসভায় সুশাসন ও সিস্টেমের ওপর জোর দেওয়া হবে। একইসঙ্গে, যুব নেতাদের গুরুত্ব দেওয়া হবে নতুন মন্ত্রিসভায়। জল্পনা যে এটিই হতে চলেছে ভারতের এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে কম বয়সীদের মন্ত্রিসভা। আরও জানা গিয়েছে, এবারের মন্ত্রিসভায় মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব আরও বাড়ানো হবে। এছাড়া, এমবিএ ডিগ্রি থাকা তরুণ নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলেও শোনা যাচ্ছে।
আগের মোদি মন্ত্রিসভার থেকে এবারে বাংলার প্রতিনিধিত্ব বেড়ে দ্বিগুণ হলেও কোনও পূর্ণমন্ত্রী পাচ্ছে না বাংলা। বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরী আগের দুই প্রতিমন্ত্রীই ইতিমধ্যে ইস্তফা দিয়েছেন। আর তাদের জায়গায় নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রীসভার নবগঠিত নতুন মন্ত্রীসভায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন শান্তনু ঠাকুর, নিশীথ প্রামাণিক, জন বার্লা ও সুভাষ সরকার।