
Narendra Modi: কী করে সামলেছিলেন গোধরাকাণ্ড? খোলামেলা সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী
Narendra Modi on Godhra Incident: Zerodha কর্ণধার নিখিল কামাতের পডকাস্টে সম্প্রতি অংশ নেন মোদি।

নয়াদিল্লি: রাজনীতিতে অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছেন তিনি। কিন্তু ২০০২ সালে গুজরাতের গোধরাকাণ্ড এবং তার পর ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক হিংসা সংক্রান্ত প্রশ্ন আজও পিছু ছাড়ে না। সেই সময় গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকলেও, সচরাচর যদিও সেই অধ্যায় নিয়ে মুখ খোলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু এবার গোধরাকাণ্ড নিয়ে খোলামেলা আলোচনায় নিজের অনুভূতির কথা জানালেন তিনি। (Narendra Modi)
Zerodha কর্ণধার নিখিল কামাতের পডকাস্টে সম্প্রতি অংশ নেন মোদি। গোধরায় ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কী ভাবে পরিস্থিতি সামলেছিলেন তিনি জানতে চান নিখিল। জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, প্রথম বার বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর মাত্র তিনদিনই কেটেছিল। কিন্তু রাজনীতিতে, বিশেষ করে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে অসম্ভব চাপ থাকে। জাতীয় বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত আবেগ, অনুভূতির কোনও জায়গা থাকে না। (Narendra Modi on Godhra Incident)
গোধরাকাণ্ড নিয়ে মোদি বলেন, "২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার বিধায়ক নির্বাচিত হই। ২৭ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় ছিলাম। সেই সময় ট্রেনে আগুন লাগার খবর পাই, মৃত্যুর খবর পাই। সঙ্গে সঙ্গে গোধরা উড়ে গিয়েছিলাম আমি। সেখানে যন্ত্রণাদায়ক দৃশ্যের সম্মুখীন হই। সব অনুভূতিই ছিল ভিতরে, কিন্তু যে পদে অধিষ্ঠিত ছিলাম, তার গুরুত্ব বিবেচনা করে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছিল।" শুধু তাই নয়, অল্পবয়স থেকে তিনি উৎকণ্ঠায় ভুগতেন বলেও জানিয়েছেন মোদি। মানুষ হিসেবে এসবই স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গোধরা পৌঁছতেও তাঁকে হিমশিম খেতে হয় বলে দাবি মোদির। তিনি বলেন, "একটাই মাত্র হেলিকপ্টার ছিল। ONGC-র সিঙ্গল ইঞ্জিনের হেলিকপ্টার। বলা হয়, ভিআইপি ওই হেলিকপ্টারে উঠতে পারবেন না। আমি তর্ক করি। জানাই, আমি ভিআইপি নই। যা ঘটেছে তার দায় আমার। সেই মতো গোধরা উড়ে যাই। সামনে তখন যন্ত্রণাদায়ক দৃশ্য, মৃতদেহ ছড়িয়ে। কিন্তু স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া দমন করতে হয়েছিল, সরিয়ে রাখতে হয়েছিল ব্যক্তিগত আবেগ।"
তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন গুজরাতে যে পাঁচটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছিল, সেই সময়ও তাঁকে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়েছিল বলে জানান মোদি। তাঁর কথায়, "পুলিশকে জানিয়েছিলাম, কন্ট্রোল রুমে থাকতে চাই। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে তা করা যায়নি। পরে হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে দেখা করতে যাই। ভিতরে অসম্ভব অস্থিরতা ছিল, উৎকণ্ঠায় ছিলাম। আমার অন্যরকম অভিজ্ঞতা হয়।"
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "ছোটবেলায় হয়ত উৎকণ্ঠায় ভোগার সমস্যাও ছিল আমার। প্রত্যেকের নিজস্ব ক্ষমতা রয়েছে, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজস্ব পদ্ধতি রয়েছে।" কিন্তু দায়িত্ববোধের সামনে কখনও কখনও নিজের আবেগ, অনুভূতি চেপে রাখতে হয়। ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গোধরার ক্ষেত্রেও তাঁকে তেমনই করতে হয়েছিল, আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে হয়েছিল বলে জানান তিনি।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
