প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে বাংলার মুখ্যসচিবকে কেন্দ্রের বদলির নির্দেশ, মোদি সরকারের সমালোচনায় কংগ্রেস
মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর কফিনে এটা শেষ পেরেক। তীব্র আক্রমণ কংগ্রেসের।
নয়াদিল্লি : মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বদলি-নির্দেশ পাঠানোয় মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনা কংগ্রেসের। প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে বাংলার মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর কফিনে শেষ পেরেক। ঠিক এমনই কড়া ভাষাতে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে তাদের তরফে।
কংগ্রেসের পক্ষে বিবৃতি দিয়ে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সুরজেওয়ালা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের এভাবে সরাসরি গণতন্ত্রের অবমাননা দেশে বিশৃঙ্খলা ডেকে আনবে। এভাবে আচমকা, ন্যক্কারজনকভাবে একপক্ষের সিদ্ধান্তে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে যোগ দেওয়ার নির্দেশে সারা দেশের মানুষই শঙ্কিত।
পাশাপাশি তাঁর সংযোজন, এটাই দ্বিগুণ বিস্ময়ের যখন জানা যায় মাত্র চারদিন আগে মোদি সরকারই তাঁকে মুখ্যসচিব হিসাবে আরও কয়েকমাস কাজ করার অনুমতি দিয়েছিল। এটি এককথায় ভারতের সংবিধান এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে হত্যার শামিল।
গতকালই রাতের দিকে কেন্দ্র নির্দেশ পাঠায়, আগামী ৩১ মে সকাল ১০ দিল্লির নর্থ ব্লকে রিপোর্ট করতে হবে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ক্যাবিনেট নিয়োগ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই নির্দেশ বলে জানানো হয়।
চলতি মে মাসেই মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মজীবন শেষ হওয়ার কথা ছিল। সম্প্রতি রাজ্যের অনুরোধে তিনমাসের সময়সীমা বাড়ানো হয়। যা কার্যকর হওয়ার কথা ১ জুন থেকে। কিন্তু তার আগেই মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে ডেকে পাঠায় কেন্দ্র। যে সিদ্ধান্ত নিয়ে বেজায় চটেছে নবান্ন।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া ভাষায় কেন্দ্রের সমালোচনা করেছেন। কেন্দ্রের কাছে বদলি-নির্দেশ ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানানোর পাশাপাশি সমালোচনার সুরে বিদ্ধ করে কেন্দ্রের উদ্দেশে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে এই কাজ করা হচ্ছে বলে দাবি তুলেছেন তিনিও। পাশাপাশি বাঙালি হওয়াতেই কী আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে এভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে বলেও প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একঝলকে কংগ্রেসের বিবৃতি-
- প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে বাংলার মুখ্যসচিবকে কেন্দ্রের বদলি-নির্দেশ।
- যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর কফিনে শেষ পেরেক পুঁতল মোদি সরকার।
- এভাবে গণতন্ত্রের অবমাননা দেশে বিশৃঙ্খলা ডেকে আনবে।
- কেন্দ্রের একতরফা সিদ্ধান্তে দেশের মানুষ শঙ্কিত।
- এই সিদ্ধান্ত সংবিধান ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে হত্যার সামিল।