Narendra Modi : 'পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল রক্ত নিয়ে কী খেলাই না খেলেছে, সেটাও দেশ দেখেছে', তীব্র আক্রমণ মোদির
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা, 'উত্তর দিন, ত্রিপুরায় কেন ৯৩ শতাংশ লোককে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া হয়নি? উত্তরপ্রদেশে কেন ৪০ শতাংশ মানুষকে নির্বাচনে কনটেস্ট করতে দেওয়া হয়নি?'
নয়াদিল্লি : বিজেপির (BJP) পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) মুখে বাংলার ভোট-হিংসা। তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ শানান তিনি। দিনকয়েক আগেই সংসদে অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবি ভাষণ দেওয়ার সময় কংগ্রেসকে আক্রমণ শানানোর সময় প্রধানমন্ত্রী কটাক্ষ শানিয়েছিলেন বিরোধীদের জোটকে। টেনে এনেছিলেন বাংলার প্রসঙ্গও। এবার একধাপ এগিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের হিংসা নিয়ে সরব হলেন তিনি। নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, 'সবে সবে ওখানে পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে, ওই ভোটে তৃণমূল রক্ত নিয়ে কী খেলাই না খেলেছে, সেটাও দেশ দেখেছে।' যার পাল্টা উত্তর দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছেন, 'উত্তর দিন, ত্রিপুরায় কেন ৯৩ শতাংশ লোককে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া হয়নি? উত্তর দিন, উত্তরপ্রদেশে কেন ৪০ শতাংশ মানুষকে নির্বাচনে কনটেস্ট করতে দেওয়া হয়নি?'
সংঘর্ষ, বোমাবাজি, ব্যালট লুঠ, আর সব কিছুর থেকেও ভয়ঙ্কর, ৫৫ জনের বেশি প্রাণহানি। ২০১৮-র স্মৃতি উস্কে দিয়ে, রক্তাক্ত হয়েছে এবছরের পঞ্চায়েত ভোটও। যা নিয়ে ফের বাংলার শাসকদল তৃণমূলকে তীব্র ভাষায় বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিকে নিয়ে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে বিজেপির ক্ষেত্রীয় পঞ্চায়েতিরাজ সম্মেলন। হাওড়ার দেউলটিতে সেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। পঞ্চায়েতিরাজের অনুষ্ঠানেই সদ্য হয়ে যাওয়া পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election)সন্ত্রাস নিয়ে হলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'প্রথমে ভোটে ওদের কী কৌশল, প্রথমে ভোটের জন্য তৈরি হতে সময় না দেওয়া, মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য দ্রুত তারিখ ঘোষণা করা, ফের কোনও বিরোধী দল বা বিজেপির প্রার্থী যাতে মনোনয়ন না জমা দিতে পারেন, তার জন্য যা করার করো। আর যদি তাঁরা কোনওভাবে মনোনয়ন জমা দিতে পৌঁছেও যান, তাহলে ফের ভোটে না লড়ার জন্য চাপ দেওয়া, ঘরে ঘরে যেতে না দেওয়া, প্রচার করতে না দেওয়া, ধমকি দেওয়া। শুধু বিজেপির প্রার্থীদের নয়, ভোটারদেরও ভয় দেখানো।'
যা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা বলেছেন, 'উনি নিজে বলেছেন, ওঁর পার্টি বলেছে - বাংলাকে আমরা ভাতে মারব। যারা এত অত্যাচার করে, তাদের বোঝা উচিত, লজ্জা থাকা উচিত, বাংলাকে হিংসা করার আগে উত্তর দিক, মণিপুর নিয়ে ৩ মাস ধরে কী করছেন ? নিজের রাজ্যগুলি আগে সামলান। বাংলা শান্তিতে চলছে, শান্তিতে থাকতে দিন। আপনি দেশ গড়বেন কীভাবে? আপনি সারাক্ষণ যদি বাংলা এই করছে, বাংলা সেই করছে, বাংলা দেখে নেব, বাংলা দখল করব। তাহলে মনে রাখবেন, বাংলাই শেষ কথা বলবে।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন