Puri Jagannath Temple : চুরি যায়নি জগন্নাথের মোদক? তদন্তে উঠে এল বড় সত্যি! পুরোটা জানালেন ওড়িশার মন্ত্রী
Modak Theft Row : রথযাত্রা উৎসবের আগে মন্দিরের দেবদেবীদের উদ্দেশ্যে নিবেদিত একটি এই জিনিস হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগে শোরগোল পড়ে যায়।

পুরী : সোমবার থেকেই তুলকালাম পুরীর মন্দিরে। ঘটে গিয়েছে নাকি বিরাট চুরি। এমন ঘটনা নাকি অতীতে কখনও ঘটেনি। অজানা আশঙ্কায় ভয়ে কাঁপছিলেনও অনেকে। স্নানযাত্রার পর 'জ্বরে কাবু'জগন্নাথদেবের উদ্দেশে নিবেদিত ঔষধি-লাড্ডু নাকি চুরি হয়ে গিয়েছে। এমন অভিযোগ করেন বলরামের রক্ষী পূজারী হলধর দাস মহাপাত্র। তারপর বিষয়টি নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। হলধর দাস মহাপাত্র শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের (SJTA) প্রধান প্রশাসকের কাছে একটি অভিযোগও করেন। শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসন এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
পিটিআই সূত্রে খবর, ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন মঙ্গলবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন , পুরীর জগন্নাথ মন্দির থেকে কোনও "মোদক" চুরি হয়নি । এই বিষয়ে মন্দিরের সেবায়েতদের থেকে একটি অভিযোগ আসে। বলা হয়, ভগবানের উদ্দেশে নিবেদনের জন্য রাজবৈদ্য প্রেরিত "মোদক" নাকি খোয়া গিয়েছে। মোট অর্পিত মোদকের মধ্যে ৭০ টি পাওয়া যাচ্ছিল না বলে দাবি করা হয়। রথযাত্রা উৎসবের আগে মন্দিরের দেবদেবীদের উদ্দেশ্যে নিবেদিত একটি এই জিনিস হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগে শোরগোল পড়ে যায়।
স্নানযাত্রার পর থেকে রথযাত্রা উৎসবের আগে পর্যন্ত রুদ্ধদ্বার থাকে শ্রীমন্দির। বলা হয় স্নান করে জ্বরে ভোগেন জগন্নাথদেব , বলভদ্র ও বোন সুভদ্রা। এই সময় রাজবৈদ্য ভগবানকে পথ্য হিসেবে ওই মোদক নিবেদন করেন। বিশ্বাস করা হয় মোদকগুলি বিশেষ ভাবে তৈরি, নির্দিষ্ট সংখ্যার । এই মোদকই চুরি যায় বলে অভিযোগ ওঠে। তবে ওড়িশার আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, "শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের (SJTA) প্রধান প্রশাসক অরবিন্দ পাধীর দেওয়া তথ্য অনুসারে মন্দির থেকে কোনও মোদক চুরি হয়নি" ।
বিতর্কের সূত্রপাত হয় যখন ভগবান বলভদ্রের রক্ষী হলধর দাস মহাপাত্র দাবি করেন, কড়া নিরাপত্তার অধীনে থাকা সত্ত্বেও ৩১৩টি 'মোদকের' মধ্যে ৭০টি হারিয়ে যায়। তিনি মোদক চুরি যাওয়ায় এর পবিত্রতা নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেন। তারপর লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত দাবি করেন।
বিতর্কটি সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয় ওড়িশা সরকার। মন্দির প্রশাসন বা এসজেটিএ সদন্ত করে এমন কোনও চুরি খুঁজে পায়নি। বিশ্বাস করা হয় যে 'মোদক' খাওয়ার পর দেবতারা আরোগ্য লাভ করেন। সেই জিনিস চুরি হয়ে যাওয়ায় শোরগোল পড়ে যায় পুরীতে। নানারকম গুজব ও জল্পনাও রটতে শুরু করে। তবে আপাতত সেই জল্পনায় ইতিচিহ্ন পড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।
























