Rahul Gandhi Cooks: শিলে বাটা মশলায় সুস্বাদু চম্পারণ মাটন, লালুর রেসিপি রেঁধে নামালেন রাহুল, নিয়ে গেলেন বাড়িও
Lalu Prasad Yadav:এবার সরাসরি লালুর বাড়িতে হাজির হলেন রাহুল। ফ্রেমে দেখা গেল লালুপুত্র তেজস্বী যাদব এবং মেয়ে মিশা ভারতীকেও।
নয়াদিল্লি: যিনি রাঁধেন, শুধু চুলই বাঁধেন না, গুছিয়ে রাজনীতিও করেন। হাতেকলমে প্রমাণ করে দেখালেন রাহুল গাঁধী (Rahul Gandhi) এবং লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav)। তাও আবার যে সে রান্না নয়, একেবারে চম্পারণ মাটন (Champaran Mutton)। রেঁধে দেখালেনই না শুধু, একসঙ্গে বসে তৃপ্তি করে খেলেন, আবার কৌটোয় ভরে বাড়িও নিয়ে গেলেন রাহুল। আর সেই রান্না খেয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়লেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা (Priyanka Gandi Vadra)।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী জোটে সিলমোহর পড়ে গিয়েছে। অসুস্থ শরীরেও বিরোধী জোট I.N.D.I.A-র বৈঠকে হাজির থেকেছেন রাহুল। এককথায় জোটে অনুঘটকের কাজ করেছেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা লালু। বরাবরই তাঁর হাতের রান্নার ভক্ত রাহুল। কয়েক মাস আগে এক সাক্ষাৎকারেও সে কথা তুলে ধরেছিলেন রাহুল। রাজনীতি এবং রান্না, দুইয়েতেই রাহুলের জুড়ি নেই বলে জানিয়েছিলেন।
এবার সরাসরি লালুর বাড়িতে হাজির হলেন রাহুল। ফ্রেমে দেখা গেল লালুপুত্র তেজস্বী যাদব এবং মেয়ে মিশা ভারতীকেও। বন্দোবস্ত সব করেই রাখা ছিল, তড়িঘড়ি হাত লাগালেন রাহুল। রান্না, আড্ডা, খাওয়া-দাওয়ার সেই ভিডিও নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেছেন রাহুল। ৭ মিনিট ১২ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল নেট দুনিয়ায়।
একেবারে সাদামাটা পরিবেশেই ভিডিও-য় দেখা গিয়েছে লালু-রাহুল এবং বাকিদের। টেবিলের উপর স্টিলের গ্যাস ওভেন, তার উপর বসানো বড় মুখের হাঁড়ি। পাঁঠার মাংস আগে থেকে কেটে, ধুয়ে রাখা ছিল। একটি একটি করে এগিয়ে দিচ্ছিলেন লালুকন্যা মিশা। তবে শুধু খুন্তি নাড়া নয়, একেবারে গোড়াতেই মাংস ম্যারিনেট করায় হাত দিতে দেখা গেল রাহুল।
আদা, রসুন থেকে যাবতীয় মশলা শিলে বাটা হয়েছে বলে রান্নার ফাঁকে রাহুলকে জানান লালু। নিজে হাতেই এক এক করে সব থালায় ঢালতে থাকেন রাহুল। তার পর কুচি করে রাখা পেঁয়াজ-সহযোগে দুই হাত দিয়ে মাখিয়ে নেন মাটনে। লালুর রান্নার সুখ্যাতি করতেও ভোলেননি রাহুল। কবে থেকে চম্পারণ মাটন রাঁধছেন, লালুকে শুধোন রাহুল। জবাব আসে, সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই নিজে রেঁধে খান। শুধুই কি দেশি রান্না খান লালু, নাকি বিদেশি খাবারেরও শখ রয়েছে? বিনা দ্বিধায় তারও জবাব দেন লালু। জানান, তাইল্যান্ডের খাবার বিশেষ পছন্দ তাঁর, বিশেষ করে পেঁপে দিয়ে যে স্যালাড পাওয়া যায় সে দেশে, তা চেখে দেখতে দারুণ লাগে তাঁর। রাহুল জানান, বোন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা ওই স্যালাড বানাতে সিদ্ধহস্ত। পরের বার নিশ্চয়ই আনবেন লালুর জন্য।
এভাবেই গল্প-আড্ডার ফাঁকে চলতে থাকে চম্পারণ মাটন রান্না। শেষে গোটা রসুন যোগ করেন লালু নিজে হাতেই। সব শেষে আসে খাবার পালা। চাপাতির সঙ্গে গরম গরম চম্পারণ মাটন পরিবেশন করেন মিশা। তখনই স্মরণ করিয়ে দেন রাহুল যে, বোন প্রিয়ঙ্কা বিশেষ আবদার করেছেন চম্পারণ মাটন খাওয়ার। বার বার বলে দিয়েছেন। না নিয়ে গেলে মুশকিলে পড়বেন তিনি। তবে ভারতীয়রা খাবার টেবিলে বসে শুধু খাবেন, আড্ডা দেবেন না তা কি হয়! তবে টেবিলে উপস্থিত সকলে যেখানে রাজনীতিক, রাজনীতি নিয়েই যে আলোচনা হবে, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। ক্রমে ডাইনিং টেবিল থেকে সেই আড্ডা উঠে আসে বাড়ির বৈঠকখানায়। রাজনীতি এবং রান্না, দুইয়েতেই যে মশলা লাগে, তা লালুর চেয়ে আর ভাল কে-ই বা জানেন!
সেই আড্ডার রেশ নিয়েই লালুর বাড়ি থেকে বিদায় নেন রাহুল। ভিডিও-র একেবারে শেষে দর্শন মেলে প্রিয়ঙ্কারও। দাদার আনা চম্পারণ মাটন বেশ তারিয়েই উপভোগ করতে দেখা যায় তাঁকে। তবে দাদা এত ভাল রান্না করেছেন, মানতেই পারছিলেন না তিনি। তাই বার বার শুধোতে থাকেন, সত্যিই কি রাহুল এই অসাধ্য সাধন করেছেন! আর ক্যামেরার সামনে আসেননি রাহুল। বরং পাশ থেকে গলা ভেসে আসে, তিনি, লালু এবং মিশা মিলেই অসাধারণ পদটি নামিয়ে ফেলেছেন। তবে লালুর গোপন রেসিপির দৌলতেই যে তা সম্ভব হয়েছে, একবাক্যে মেনে নেন রাহুল।