Lakhimpur Kheri: পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, বিমানবন্দরে ধর্না, অবশেষে লখিমপুরের পথে রাহুল
Lakhimpur Kheri: কিন্তু সেই সফর নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত। পুলিশের গাড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। প্রতিবাদে লখনউ বিমানবন্দরেই ধর্না। যদিও আধ ঘণ্টা পর রওনা দেন রাহুল।
নয়াদিল্লি: লখিমপুরে রাহুল গাঁধীর সফরে নতুন মোড়। দীর্ঘ টালবাহানার পরে অবশেষে রাহুল গাঁধীর লখিমপুর সফরের অনুমতি দেওয়া হল। কিন্তু সেই সফর নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত। পুলিশের গাড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। প্রতিবাদে লখনউ বিমানবন্দরেই ধর্না। যদিও আধ ঘণ্টা পর রওনা দেন রাহুল। লখিমপুরের পথে পা বাড়ান কংগ্রেস নেতা।
লখিমপুরের ঘটনার পরই গোটা দেশ সোচ্চার হয়েছে। ভারতে একনায়কতন্ত্র চলছে। আমজনতা, কৃষকদের থেকে চুরি হচ্ছে, সেটাকেই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। লখিমপুরকাণ্ডে সাংবাদিক বৈঠকে মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গাঁধী। পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতেই লখিমপুর নিয়ে অবিবেচকের মত মন্তব্য করছেন রাহুল। অভিযোগ বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্রর।
এর আগে প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর পর এবার রাহুল গাঁধীকেও লখিমপুরে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি উত্তরপ্রদেশ সরকার। আজ রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদলের লখিমপুর খেরিতে যাওয়ার কথা ছিল। যোগী সরকারের তরফে জানানা হয়েছে, আপাতত ওই অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখাই প্রশাসনের মুখ্য কাজ। সেই কারণেই কাউকে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না।
কৃষক হত্যার পর থেকে রাজধানী লখনউতে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। এদিকে মঙ্গলবারই গ্রেফতার করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে। লখিমপুর খেরিতে যাওয়ার চেষ্টা করায় তাঁকে যেখানে আটক করে রাখা হয়েছিল, সীতাপুরের সেই অতিথি নিবাসকে পরিণত করা হয়েছে অস্থায়ী জেলে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সূত্রে খবর, শান্তিভঙ্গ, ষড়যন্ত্র ও প্ররোচনার অভিযোগে প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তবে বন্ড দিয়ে জামিন নিতে অস্বীকার করেছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। তাঁর অভিযোগ, সীতাপুরে তাঁকে গৃহবন্দি রাখা হলেও দেখানো হয়নি এফআইআরের কপি। এমনকি আইনজীবীর পরামর্শও নিতে দেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন প্রিয়ঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে লখিমপুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরও চড়তে পারে রাজনৈতিক পারদ।