![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
রেল কমিটি আর্থিক প্রতারণা মামলা: সিটের চার্জশিটে নেই, মুকুলের নাম সন্দেহের তালিকায়
এফআইআরে মুকুল রায়ের নাম ছিল....
![রেল কমিটি আর্থিক প্রতারণা মামলা: সিটের চার্জশিটে নেই, মুকুলের নাম সন্দেহের তালিকায় Rail Committee Fraud case: SIT files chargesheet in court, Mukul Roy name omitted রেল কমিটি আর্থিক প্রতারণা মামলা: সিটের চার্জশিটে নেই, মুকুলের নাম সন্দেহের তালিকায়](https://static.abplive.com/wp-content/uploads/sites/3/2020/03/06174722/web-mukul-roy-file-still-060320.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা: জোনাল রেলওয়ে ইউজার কনসালটেটিভ কমিটি-র সদস্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আর্থিক প্রতারণা মামলায় আলিপুর আদালতে চার্জশিট জমা দিল বিশেষ তদন্তকারী দল সিট।
এফআইআরে নাম থাকলেও সিটের চার্জশিটে নেই মুকুল রায়ের নাম। চার্জশিটে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে এই বিজেপি নেতাকে।
২৫ জানুয়ারি, ২০১৯। সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় নামে বেহালার সরশুনার বাসিন্দা এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, জোনাল রেলওয়ে ইউজার কনসালটেটিভ কমিটি-র সদস্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৬-র মে মাসের মধ্যে কয়েক ধাপে এই টাকা নেওয়া হয়।
এই মামলায় প্রথমে গ্রেফতার হন বাবান ঘোষ নামে এক বিজেপি নেতা। পরে গ্রেফতার হন রাহুল সাউ, সাদ্দাম হুসেন নামে আরও দুই মুকুল ঘনিষ্ঠ। তাঁদের প্রত্যেকেই এখন জামিনে মুক্ত। মুকুল রায়কে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।
এদিন অবশ্য আলিপুর আদালতে পেশ করা সিটের ৮ পাতার চার্জশিটে বাবান ঘোষ, রাহুল সাউ, সাদ্দাম হুসেনের পাশাপাশি কামাল হুসেন আনসারি নামে পুরুলিয়ার বাসিন্দা আরও একজনের নাম রয়েছে। তাঁকে পলাতক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ধারা অনুযায়ী প্রতারণার অভিযোগ। ৪৬৮ নম্বর ধারায় জালিয়াতি, ৪৭১ নম্বর ধারায় জাল নথিকে আসল বলে চালানোর চেষ্টা, ৫০৬ নম্বর ধারায় হুমকি এবং ১২০বি-র ধারা অনুযায়ী অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে চার্জশিট আনা হয়েছে।
এদিকে, এফআইআরে মুকুল রায়ের নাম থাকলেও সিটের চার্জশিটে তাঁকে রাখা হয়নি। তবে, তাঁকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে। ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘের রাজ্য সভাপতি বাবান ঘোষ বলেন, তৃণমূল সরকার একটা গল্প ফেঁদেছিল। মুকুল রায়কে নিয়ে কেস শুরু হয়েছিল। কিন্তু এখন তিনিই ফিগারে নেই। বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা রয়েছে। আমরাও আশা করি বিচার পাব। ছাড়া পাব।
পুলিশ সূত্রে দাবি, এই মামলায় ধৃতদের থেকে বাজেয়াপ্ত চারটে মোবাইল ফোনে বেশকিছু কল রেকর্ডিং মিলেছে। কাদের মধ্যে সেই কথোপকথন, তা জানতে সেগুলিকে চণ্ডীগড়ে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাব থেকে রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিতে পারে সিট।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)