Raja Raghuvanshi Murder : 'টাকার জন্য নয়, বন্ধুত্বের খাতিরে রাজা রঘুবংশীকে খুন করেছিল আততায়ীরা', বলছে পুলিশ
Honeymoon Murder Case: শুধু টাকার জন্য নয়, সোনম-রাজের পাশে দাঁড়াতে এই ঘটনা ঘটিয়েছিল আততায়ীরা। পুলিশের তদন্তে উঠে আসছে একাধিক তথ্য...

ইন্দোরের রাজা রঘুবংশী হত্যার ঘটনায় সামনে এল নতুন তথ্য। প্রাথমিকভাবে, এই ঘটনাকে ভাড়াটে খুনি দিয়ে খুন বলে মনে করা হলেও, আসলে তা নয়। নতুন তথ্য সামনে আনল পুলিশ। সোনম ও তার অভিযুক্ত প্রেমিক রাজ খুশওয়ার পাশাপাশি এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে- বিশাল, আকাশ ও আনন্দ। যেটা জানা যাচ্ছে তা হল, টাকার জন্য নয়, রাজের পাশে দাঁড়াতে এই ঘটনা ঘটিয়েছিল আততায়ীরা। কী রকম ?
বিস্তারিত...
পূর্ব খাসি হিলসের পুলিশ সুপার বিবেক সিয়েমের কথায়, "ওই তিনজন বন্ধু ছিল। তাদের মধ্যে একজন রাজের তুতো ভাই।" সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর। পুলিশ আধিকারিকের সংযোজন, "এটা ঠিক কন্ট্র্যাক্ট কিলিং নয়। হ্যাঁ, খুন করাই লক্ষ্য ছিল। কিন্তু, তারা এটা বন্ধু রাজের পাশে দাঁড়াতে এটা করেছিল।"
সোনমের প্রেমিক রাজ খুশওয়া এই হত্যার মাস্টারমাইন্ড বলে অভিযোগ। তার সঙ্গে ষড়যন্ত্র শামিল সোনমও, এমনই অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গেছে দেশজুড়ে। আরও যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের খুন করতে ভাড়া করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু, পুলিশ জানিয়েছে, ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা থেকে এই ঘটনা ঘটিয়েছিল ওই তিন অভিযুক্ত। জিনিসপত্র কেনার জন্য রাজ মাত্র ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিল তাদের। এমনই বলছে পুলিশ।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইন্দোরে পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তাদের ব্যাকআপ পরিকল্পনা ছিল ভয়ঙ্কর। পুলিশ সূত্রে খবর, যে কোনো এক মহিলাকে খুন করে তার শরীর পুড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। সেটাকেই সোনমের বলে তুলে ধরা হত। যাতে ঘটনার পর সত্যিটা লুকানোর জন্য তাকে আরও সময় করে দেওয়া যায়। পুলিশ সুপার বলছেন, "রাজাকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছিল ইন্দোরে। সোনমের সঙ্গে ১১ মে বিয়ের আগেই এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এর মাস্টারমাইন্ড ছিল রাজ। সোনম শুধু এতে সম্মতি জানিয়েছিল।"
গত ১১ মে বিয়ে হয়েছিলে ২৪ বছরের সোনম ও ২৯ বছরের রাজার। পুলিশ সূত্রে খবর, রাজের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও সোনমকে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। সোনমের পরিবারের ফার্নিচার শিট ইউনিটের অ্যাকাউনটেন্ট হিসাবে কাজ করত রাজ। পারিবারিক সেই ব্যবসার দেখভাল করত সোনম। ইন্দোরে বিয়ের পর, রাজা ও সোনম হানিমুনের জন্য মেঘালয় চলে যায়। ২৩ মে থেকে তাদের খোঁজ মিলছিল না। ২ জুন রাজার মৃতদেহ যেখানে পাওয়া গিয়েছিল সেখান থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে নংরিয়াত গ্রামে একটি হোমস্টে থেকে বেরিয়ে আসার কয়েক ঘণ্টা পর।























