Rajasthan Political Crisis : মহারাষ্ট্র মডেলে সরকার ফেলার চেষ্টা! গহলৌতের তোপ, বিদ্রোহে ঘনিষ্ঠদের শোকজ
Congress : মল্লিকার্জুন খাড়গে, অজয় মাকেনের রিপোর্টের পর গহলৌত ঘনিষ্ঠ তিন নেতাকে শোকজ করেছে এআইসিসির। ১০ দিনের মধ্যে জবাব তলব করা হয়েছে।
জয়পুর : বিদ্রোহ, উদ্বেগ, শোকজ, অনিশ্চয়তা। কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে অশোক গহলৌতের (Ashok Gehlot) পা বাড়ানোর পর রাজস্থানের (Rajasthan Congress Crisis) পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে জারি টানটান নাটক। অশোক গহলৌত- সচিন পাইলট শিবিরের মধ্যে চলতে থাকা দ্বন্দ্বের মাঝেই এবার বিজেপিকে নিশানা করলেন মরুরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। অশোক গহলৌতের আক্রমণ, মহারাষ্ট্র মডেলে রাজস্থানে সরকার ফেলার ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি।
এর মাঝেই বিদ্রোহ বিতর্কে বিপাকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী। মল্লিকার্জুন খাড়গে, অজয় মাকেনের রিপোর্টের পর গহলৌত ঘনিষ্ঠ তিন নেতাকে শোকজ করেছে এআইসিসির। ১০ দিনের মধ্যে জবাব তলব করা হয়েছে। দিল্লির কংগ্রেস শিবিরের একাধিক নেতার দাবি, গহলৌত শিবিরের পক্ষ থেকে কংগ্রেসের গরিমা নষ্ট করা হয়েছে।
গহলৌতকেই দায়ী করছে কংগ্রেস
কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে রাহুল গান্ধীর শর্তে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে কংগ্রেস সভাপতি পদে লড়াইে রাজি বলে দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছিলেন অশোক গহলৌত। কিন্তু তাঁর বিকল্প হিসেবে রাজস্থানে সচিনের নাম নিয়ে আলোচনা শুরু হতেই, দোনোমোনো করতে থাকতেন তিনি। রবিবার জয়পুরে দলীয় নেতৃত্ব যখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পৌঁছন, সেইসময় অনুগামী বিধায়কদের গহলৌত তাতিয়ে তোলেন বলে অভিযোগ। তাতেই পায়লটকে মুখ্যমন্ত্রী করার বিরুদ্ধে একযোগে ৮২ জন বিধায়ক ইস্তফাপত্রে স্বাক্ষর করে দেন।
অশোক গহলৌত যদিও বিক্ষোভের নিজের ভূমিকার কথা অস্বীকার করেছেন। জানিয়ে দেন, পরিস্থিতি তাঁর নিয়ন্ত্রণে নেই। বিধায়করাই রেগে গিয়েছেন। কিন্তু গহলৌতের সেই ‘সাফাই’ মনে ধরেনি কংগ্রেস নেতৃত্বের। ফলে দলের অন্যতম অভিজ্ঞ নেতা, গহলৌতের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তুলেছেন সকলে। তার পরই গহলৌতের পরিবর্তে খড়্গে, দিগ্বিজয়ের নাম উঠে আসে বলে জানা গিয়েছে কংগ্রেস সূত্রে।
সবমিলিয়ে বিজেপিকে নিশানা শানালেও কংগ্রেসেই এই মুহূর্তে বেশ কোনঠাসা অশোক গহলৌত।
শশী তারুর কংগ্রেস সভাপতি পদে লড়ার কথা সামনে আসতেই দলের অভ্যন্তরেই টের পাওয়া গিয়েছে উষ্মা। কংগ্রেস নেতা গৌরব বল্লভ নিশানা করেছেন তারুরকে। সনিয়া গাঁধী অসুস্থ থাকার সময় তাঁকে চিঠি পাঠানো নিয়ে নিশানা করা হয়েছে শশী তারুরকে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, রাহুল গাঁধীরই ওই পদে বসা উচিত। কিন্তু যদি তিনি তাঁর সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। সেক্ষেত্রে বাকি দুটোর নামের মধ্যে কোনও তুলনাই হয় না। এমন বক্তব্যের মাধ্যমে কার্যত গেহলটকেই তিনি সমর্থন করেছেন বলে রাজনৈতিক মহলের মত। পাশাপাশি গৌরবের দাবি, মুখপাত্র নয় একজন সাধারণ কংগ্রেস কর্মী হিসেবে তাঁর এই বক্তব্য। এই বিষয়ে একাধিক টুইটও করেছেন তিনি। পাল্টা শশী তারুর প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি থিওডোর রুজভেল্টের একটি উক্তি টুইট করেন।
আরও পড়ুন- বাড়ছে ডেঙ্গি উদ্বেগ, বেডের অভাব, বাড়তি উদ্যোগ জেলায় জেলায়