Student Death: 'মা-বাবা আমি পারলাম না'... JEE পরীক্ষার পর কোটায় আত্মঘাতী ছাত্রী
JEE Exam: ১৮ বছরের ছাত্রীর সুইসাইড নোটে মা-বাবা উদ্দেশ্যে ওই পড়ুয়া লিখেছে 'মা, বাবা আমি জয়েন্ট এন্ট্রাস এক্সামিনেশনে পারলাম না। আমি ব্যর্থ। আমি সবচেয়ে খারাপ মেয়ে।'
রাজস্থান, কোটা: 'থ্রি ইডিয়টস' (3 Idiots) ছবির জয় লোবোকে মনে আছে? ইঞ্জিনিয়ারিং (JEE Examination) প্রতিষ্ঠানের চাপ সহ্য করতে না পেরে, সময়ে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে না পেরে, শিক্ষকের থেকে তিরস্কার সইতে না পেরে, সর্বোপরি বাড়িতে জানাজানি হয়ে যাওয়ায় বেচারাকে আত্মহননের পথ বেছে নিতে হয়েছিল। এমন ঘটনা শুধু রুপোলি পর্দায় নয়, বাস্তবেও ঘটে। মাঝে মাঝে সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে এইসব ঘটনা। সম্প্রতি তেমনই একটি ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। ভাইরাল হয়েছে ১৮ বছরের এক ছাত্রীর সুইসাইড নোটে। সেখানে নিজের মা-বাবার উদ্দেশ্যে সে লিখেছে, 'মা, বাবা আমি জয়েন্ট এন্ট্রাস এক্সামিনেশনে পারলাম না। আমি ব্যর্থ। আমি সবচেয়ে খারাপ মেয়ে।'
রাজস্থানের কোটায় এই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। রাজস্থানের কোটাতে প্রতি বছর হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে যান। সকলে সফল হতে পারেন তেমন নয়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় অসফল হলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন পড়ুয়ারা। সেখানে পড়াশোনার চাপের পাশাপাশি পরিবারের তরফে কিছু করে দেখানোর (এক্ষেত্রে জয়েন্ট এন্ট্রাসের মতো পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া) চাপও থাকে। আর সেখানে ব্যর্থ হলে পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেতে আত্মহননের পথ বেছে নেন পড়ুয়ারা। কোটায় এমন ঘটনা এর আগেও হয়েছে। পিটিআই সূত্রে পাওয়ার সাম্প্রতিক ঘটনার পর পরিসংখ্যান বলছেন, গত এক সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়ে দু'জন পড়ুয়ার আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে রাজস্থানে কোটায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, আত্মঘাতী ছাত্রী গুজরাতের বাসিন্দা। গত দু'বছর ধরে কোটায় ছিলেন তিনি। কোটার একটি নামকরা কোচিং সেন্টারের ছাত্রী ছিলেন তিনি। চলতি মাসেই দিয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা অর্থাৎ জয়েন্ট এন্ট্রাস। কিন্তু পরীক্ষা দেওয়ার পর থেকে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে বেশ অবসাদে ভুগছিলেন ওই পড়ুয়া, অখুশি ছিলেন। এর পরেই চরম সিদ্ধান্ত নেন ওই ছাত্রী। আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি।
এই দুর্ঘটনার আগেই আরও একটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছিল কোটাতে। ১৮ বছরের এক ছাত্র আত্মহত্যা করেছিলেন। পরে পুলিশ সূত্রে জানা যায় তিনিও কোটার একটি কোচিং সেন্টারে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য পড়াশোনা করছিলেন। ভাড়া বাড়ি থেকে ওই ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এই ঘটনার ক্ষেত্রেও উদ্ধার হয়েছিল ছাত্রের সুইসাইড নোট। সেখানে ছাত্র লিখেছিলেন যে নিজের জীবন নিয়ে খুশি নন তিনি, নিজেকে শেষ করে দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেছিলেন। তারপরেই নেন চরম সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন- বাংলা থেকে বিহারের পথে রাহুলের 'ন্যায়যাত্রা', কী বার্তা রাহুলের ?