Rajiv Gandhi Murder Case: ৩ দশক পার, রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় মুক্তি নলিনী শ্রীহরণের
SC on Rajiv Gandhi Murder Case: ভারতীয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায়, ৩১ বছরের কারাদণ্ডের পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মুক্তি পেলেন অভিযুক্ত নলিনী শ্রীহরণ।
নয়া দিল্লি: রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় মুক্তি নলিনীর। উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে হত্যা মামলায় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ভারতীয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় (Rajiv Gandhi Murder Case), ৩১ বছরের কারাদণ্ডের পর সুপ্রিম কোর্টের (Suprime Case) নির্দেশে মুক্তি পেলেন অভিযুক্ত নলিনী শ্রীহরণ (Nalini Sriharan)।
রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্তদের মুক্তি নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত
ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায়, দোষী সাব্যস্ত ৬ জনেরই মুক্তি নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। এই ছয়জনের মধ্যে রয়েছেন নলিনী শ্রীহরণ। মুক্তি পেয়েছেন তার স্বামী মুরুগানও। উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালের ২১ মে, শ্রীপেরুমবুদুরে তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে হত্যা মামলায় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আদালত পরে তাঁদের সাজা ঘোষণা করে। তার পর কেটে গিয়েছে প্রায় ৩ দশক। অবশেষে, ২০২২ সালে সাজা মুক্তি ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট।
২০০০ সালে নলিনীকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা থেকে রেহাই
শ্রীপেরুমবুদুরে রাজীব গান্ধী হত্যা মামলার পর রাজ্য সরকারের সুপারিশ এবং সোনিয়া গান্ধীর আপিলের ভিত্তিতে তামিলনাড়ুর গর্ভনর ২০০০ সালে নলিনীকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা থেকে রেহাই দেন। তার অন্য তিনটি সাজার মেয়াদও ২০১৪ সালে কমিয়ে দেওয়া হয়। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর রাজ্য সরকার, রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় সরকার এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি সুপারিশে পেরারিভালান মুক্তি পায়। যাদের সাজা এবং আইনি লড়াইয়ের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে সিবিআই-র ডাইরি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পেরারিভালানের বক্তব্যের গুরুত্বপূর্ণ নথি।
আরও পড়ুন, অখিলের বিতর্কিত মন্তব্য জের, রাজ্যপালকে চিঠি শুভেন্দুর
১৯৯১ সালে শ্রীপেরুমবুদুরে সভা করছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী
প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালের ২১ মে, তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুমবুদুরে সভা করছিলেন তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। সেই সময়ই তার উপর আত্মঘাতী হামলা করা হয়। পরে জানা যায়, যে ব্যক্তি এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন, তিনি হলেন থেনিমোরি রাজারত্নম। ঘটনায় নাম জড়ায়, এলটিটিই-র (লিবারেশন অব তামিল ইলাম সংগঠন)। এদিকে ততদিনে, ইন্দিরা গান্ধীর ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডে শোকস্তব্ধ সারা দেশ। আর তার পরপর ১৯৯১ সালে ভোটের প্রচারের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। তারই মাঝে ঘটে আরও এক ভয়াবহ ঘটনা। হত্যা করা হয়, রাজীব গান্ধীকেও।