GDP Growth Forecast: ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে GDP ৬.৫%, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগ, রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল RBI
GDP Growth: মুদ্রাস্ফীতি, অর্থনৈতিক সঙ্কট এবং বেকারত্ববৃদ্ধি এই মুহূর্তে ভাবিয়ে তুলেছে গোটা পৃথিবীকে। কিন্তু RBI-এর দাবি, এতকিছুর মধ্যেও ভারতের অর্থনীতি এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থিতিশীল রয়েছে।
নয়াদিল্লি: অভ্যন্তরীণ মোট উৎপাদন বৃদ্ধির হার পূর্বাভাস দিতে গিয়ে আগের অবস্থানেই অনড় থাকল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। ২০২৩-'২৪ অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার ৬.৫ শতাংশই রাখল তারা (GDP Growth Forecast)। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, অভ্যন্তরীণ বাজারে জিনিসপত্রের চাহিদা রয়েছে যথেষ্ট। গ্রামীণ অঞ্চলেও বাড়ছে বিক্রিবাটা। তাই চলতি অর্থবর্ষে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির হার ৬.৫ শতাংশই থাকবে বলে আশাবাদী তাঁরা (Indian Economy)।
বিশ্ব অর্থনীতিতে সঙ্কট, ভারত স্থিতিশীল বলে দাবি করছে RBI
মুদ্রাস্ফীতি, অর্থনৈতিক সঙ্কট এবং বেকারত্ববৃদ্ধি এই মুহূর্তে ভাবিয়ে তুলেছে গোটা পৃথিবীকে। কিন্তু RBI-এর দাবি, এতকিছুর মধ্যেও ভারতের অর্থনীতি এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থিতিশীল রয়েছে। রবিশস্যের সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছে। এবার বর্ষা নিয়েও আশঙ্কার কিছু নেই। মানুষ হাতখুলে খরচেও পিছপা হচ্ছেন না। ফলে সব ক্ষেত্রই স্থিতিশীল থাকবে বলে মিলছে ইঙ্গিত (GDP Growth)।
RBI-এর অর্থ সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণকারী কমিটি (MPC) যদিও জানিয়েছে, বছরভর GDP-র ওঠানা বজায় থাকবে। প্রথম ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার ৮ শতাংশ। শেষ ত্রৈমাসিকে তা কমে ৫.৭ শতাংশ হতে পারে। অর্থাৎ পূর্বাভাস বলছে, বছরের শুরুতে বৃদ্ধির হার ঊর্ধ্বমুখী হলেও, বছর শেষ হতে হতে গতি শ্লথ হয়ে পড়বে।
আরও পড়ুন: UGC Recommendations: যে কোনও বিষয় নিয়েই সায়েন্স ডিগ্রি! প্রস্তাব UGC কমিটির
বৃহস্পতিবার শক্তিকান্ত বলেন, "ভারতীয় অর্থনীতি এবং অর্থ সংস্থাগুলি সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে। তাই বিশ্ব অর্থনীতি নড়বড়ে হলেও, ভারতের আশার জায়গা রয়েছে।" যে কারণে রেপো রেটেও পরিবর্তন ঘটায়নি RBI. ৬.৫ শতাংশই রাখা হয়েছে। অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে।
RBI-এর এই সিদ্ধান্ত নিয়েও শুরু হয়েছে কাটাছেঁড়া। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক এখনও হয়নি। জুন মাসের শেষ দিকে সেই বৈঠক হবে। তার জন্যই RBI অপেক্ষা করছে। যদিও ইতিমধ্যেই দু'টি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক সুদের হার বাড়িয়েছে।
তবে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে আশঙ্কার জায়গা থেকে যাচ্ছে। কারণ গোড়ায়, ২০২৩-'২৪ অর্থবর্ষে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি ৫.২ শতাংশ থাকতে পারে বলে জানিয়েছিল RBI. পরে তা কমিয়ে ৫.১ শতাংশ করা হয়। মুদ্রাস্ফীতিকে কমিয়ে ৪ শতাংশে আনার পরিকল্পনা ছিল তাদের। তাই মুদ্রাস্ফীতি সম্ভাব্য হার তাদের অনুমানের চেয়ে বেশিই থাকছে।
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ রয়েছে
বিশ্ব অর্থনীতি এই মুহূর্তে যে জায়গায়, তা নিয়েও এ দিন উদ্বেগ প্রকাশ করেন শক্তিকান্ত। তাঁর মতে, বিশ্ব অর্থনীতির এমন নড়বড়ে অবস্থার জন্য দায়ী আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি। সেদিকে নজর রেখেই অর্থনীতি সংক্রান্ত পরবর্তী সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।