UGC Recommendations: যে কোনও বিষয় নিয়েই সায়েন্স ডিগ্রি! প্রস্তাব UGC কমিটির
National Education Policy: দু'বছরের স্নাতকোত্তর ডিগ্রির ক্ষেত্রে মাস্টার ইন সায়েন্স নামটি ব্যবহার করা যাবে।
নয়াদিল্লি: জাতীয় শিক্ষা নীতির আওতায় কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এ বার একগুচ্ছ ডিগ্রির নামবদল হতে চলেছে (National Education Policy)। সেই মর্মে প্রস্তাব জমা দিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। একগুচ্ছ নয়া নামের প্রস্তাব এনেছে তারা, যার মধ্যে রয়েছে ব্য়াচেলর অফ সায়েন্স (BS)-ও। তবে শুধু বিজ্ঞান নয়, সায়েন্সের আওতায় পড়াযাবে হিউম্যানিটি, ম্যানেজমেন্ট, বাণিজ্য এবং কলাবিভাগের বিভিন্ন বিষয়ও (UGC Recommendations)।
একই ভাবে, দু'বছরের স্নাতকোত্তর ডিগ্রির ক্ষেত্রে মাস্টার ইন সায়েন্স নামটি ব্যবহার করা যাবে। যদিও যে কোনও বিষয়ের ক্ষেত্রেই BS নামটি ব্যবহার করা যাবে, বিজ্ঞান বিষয়ের ক্ষেত্রে BA এবং MA নাম ব্যবহৃত হবে না। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে কলা, হিউম্যানিটিজ এবং সোশ্যাল সায়েন্স নিয়ে ব্যাচেলর ইন আর্টস ডিগ্রি রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের। মূলত বিজ্ঞান বিষয়ই পড়ানো হয় ব্যাচেলর ইন সায়েন্স ডিগ্রির আওতায়। এবার থেকে BS-এর আওতায় বিভিন্ন বিষয় পড়ানো যাবে বলে জমা পড়েছে প্রস্তাব।
নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতির আওতায়, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরের ডিগ্রি কোর্সের খোলনলচে বদলে ফেলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তরফে যে কমিটি গড়া হয়েছে, এর মধ্যে প্রথমেই কোর্সের নাম বদলে ফেলার প্রস্তাব রয়েছে। শীঘ্রই এ নিয়ে জনমত সংগ্রহ করা হবে। তার পরই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee : রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব সরিয়ে মোদিকে উপহার পাঠালেন মমতা, বাংলার আম গেল রাষ্ট্রপতির কাছেও
উল্লেখ্য, ভারতের বাইরে বিভিন্ন দেশে,কলা, বিজ্ঞান, বাণিজ্য শাখার বিভিন্ন বিষয়ের ডিগ্রি বিদেশে BA, BS নামে পরিচিত। মনোবিদ্যা এবং অর্থনীতিও BA এবং BS ডিগ্রি হিসেবে অভিহিত হয়। তবে দু'টির মধ্যে কিছু পার্থক্যও থাকে। BS-এর ক্ষেত্রে গবেষণার সুযোগ থাকে বেশি, বিশেষ জোর দেওয়া হয়। BA-র ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের পছন্দের বিষয় পড়তে দেওয়ই মূল লক্ষ্য়।
উদাহরণস্বরূপ দেখা যেতে পারে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিকে। সেখানে ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স-এ BA এবং BS, দুই ডিগ্রিই প্রদান করা হয়। BA-র ক্ষেত্রে ক্রেডিট কম হলেও চলে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বাইরে গিয়েও কিছু করতে পারেন। BS-এর ক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রযুক্তি সম্পর্কে গভীর জ্ঞান জন্মায়।
নয়া নীতি অনুযায়ী, স্নাতকস্তরের পড়াশোনা চার বছরের করা হয়েছে, আগে যা ছিল তিনবছরের। আগে তিন বছরেই অনার্স নিয়ে স্নাতক ডিগ্রি হাসিল করা যেত। নয়া নীতি অনুযায়ী, তিন বছরে স্নাতক হতে পারবেন পড়ুয়ারা। সে ক্ষেত্রে ক্রেডিট হতে হবে ১২০। অনার্সের ডিগ্রি পেতে হলে বাড়তি একবছর দিতে হবে। তাতে ক্রেডিট হতে হবে ১৬০। যে কোনও বিষয় নিয়ে পড়তে পারবেন পড়ুয়ারা। এক্ষেত্রে ব্যাচেলর অফ সায়েন্স ডিগ্রির আওতায়ও ভর্তি হতে পারেন পড়ুয়ারা।স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করলে শিক্ষাগত যোগ্যতা লেখা হবে এই মর্মে- BA (Hons), BCom (Hons), BS (Hons). অনার্স গ্র্যাজুেটদের ক্ষেত্রে লেখা হবে, BA (Hons with Research), BCom (Hons with Research). নয়া কমিটি MPhil তুলে দেওয়ার পক্ষেও সওয়াল করেছে। তবে নয়া নামের প্রস্তাব স্বীকৃত হলেও, আগের নামও থাকবে। তিন বছরের স্নাতকস্তরের পড়াশোনাও থাকবে। সমান্তরাল ভাবে চলবে চার বছরের স্নাতক কোর্সও।
এ ছাড়াও, পড়ুয়াদের কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। তিন বছর সম্পূর্ণ হওয়ার আগে যদি কেউ পড়শোনা ছেড়ে দেন, পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে যে কোনও সময় আবার পড়াসোনা শুরু করতে পারবেন। তার পর সাত বছর পর্যন্ত সময় পাবেন ডিগ্রি অর্জন করার।
স্নাতক স্তরে একটি মাত্র বিষয়ের পরিবর্তে, দু'টি বিষয়কে মেজর হিসেবে নিতে পারবেন পড়ুয়ারা। ডিগ্রি অর্জনের ক্ষেত্রে ভাষাশিক্ষা, দক্ষতা অর্জন, পরিবেশ শিক্ষা, ভারত-দর্শন, প্রযুক্তিগত সমাধান, স্বাস্থ্য এবং কল্য়াণ সংক্রান্ত বিষয় ছাড়াও যোগশিক্ষা, খেলাধুলোর মতো বিষয়ও বেছে নেওয়া যাবে।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI