RG Kar Case Hearing: 'কাজে যোগ দিন,' আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের বার্তা সুপ্রিম কোর্টের
R G Kar Update: সুরক্ষা নিয়ে এদিন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের আইনজীবী। তাতে সলিসিটর জেনারেল জানান, প্রয়োজনে সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।
কলকাতা: কর্মবিরতিতে থাকা আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট (RG Kar Case Hearing)। পাশাপাশি সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে প্রয়োজনে যাবতীয় সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।
চিকিৎসকদের বার্তা সর্বোচ্চ আদালতের: গত ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনা ঘটে। তারপর থেকেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। যাঁর জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সুবিচারের দাবিতে কর্মবিরতিতে রয়েছেন বহু জুনিয়র চিকিৎসক। এদিনের শুনানিতে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের প্রধান বিচারপতি আশ্বাস দেন, 'কর্মবিরতি করার জন্য চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।' পাশাপাশি রোগীদের কথা মাথায় রেখে সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে কাজে যোগ দেওয়ার বার্তা দেয় সর্বোচ্চ আদালত। এরপরই চিকিৎসকদের আইনজীবী শুনানিতে বলেন, 'আর জি কর মেডিক্যালের হস্টেলে জুনিয়র চিকিৎসক ও ইন্টার্নদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।' এর প্রেক্ষিতে সলিসিটর জেনারেল বলেন, নাম দিন, CISF-কে বলে ব্যবস্থা নেব, জানালেন সলিসিটর জেনারেল। পা্শাপাশি শুনানিতে চিকিৎসকদের ৩৬ ঘণ্টা টানা ডিউটি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতির। সুপ্রিম কোর্ট জানায়, সরকারি হাসপাতালের অসংখ্য সমস্যা নিয়ে তাঁদের কাছে রিপোর্ট এসেছে।
গতকাল স্বাস্থ্যভবন অভিযানে নামেন জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রবল চাপের মুখে পড়ুয়াদের দাবি মেনে সরানো হয় আর জি কর মেডিক্যালের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ, চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধান, নবনিযুক্ত সুপার ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে। নতুন অধ্যক্ষ হয়েছেন মানসকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। বিতর্কের মুখে পড়ে ন্যশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সন্দীপ ঘোষকে।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো এদিনই আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছে গেল ২ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী। হাসপাতালের মেন গেট, ট্রমা কেয়ার ইউনিট, জরুরি বিভাগ-সহ বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে CISF জওয়ানদের। বুধবারের পর বৃহস্পতিবার সকালে ফের CISF-এর শীর্ষ আধিকারিকরা আর জি কর মেডিক্যালে আসেন। বয়েজ ও লেডিজ হস্টেল-সহ ২৫টি জায়গায় মোতায়েন থাকছে আধাসেনা। মূল গেটে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন ৪ জন জওয়ান। এছাড়াও, থাকছে ৬ জনের QRT টিম। সব মিলিয়ে একদিনে ৩ শিফটে ১৮৫ জন আধাসেনা মোতায়েন থাকছে হাসপাতাল চত্বরে। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার স্বার্থে হাসপাতালের বিভিন্ন গেটে মেটাল ডিটেক্টর বসানোর চিন্তাভাবনা করছে CISF। এদিন সুপ্রিম কোর্টের আশ্বাসের পরই, ১১ দিনের কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি এইমসের জুনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠন, রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: RG Kar News: ৯ দিনের তদন্তে কতদূর অগ্রগতি? সুপ্রিম কোর্টে স্টেটাস রিপোর্ট দিল CBI