Salman Khan: সলমনকে শেষ করে দিতে ২৫ লক্ষ টাকায় রফা, AK 47 আনা হচ্ছিল পাকিস্তান থেকে, পুলিশের চার্জশিটে আর কী?
Bollywood Updates: বৃহস্পতিবার চার্জশিট জমা দিয়েছে নবী মুম্বই পুলিশ।
মুম্বই: অভিনেতা সলমন খানকে খুন করতে ২৫ লক্ষ টাকার বরাত দেওয়া হয়। মহারাষ্ট্রের পানভেলে ফার্মহাউসের কাছে সলমনকে নিকেশ করার পরিকল্পনা ছিল দুষ্কৃতীদের। এর জন্য পাকিস্তান থেকে AK 47, AK 92 এবং M 16 আগ্নেয়াস্ত্র কেনার প্রস্তুতিও চলছিল। সলমনকে খুনের চক্রান্ত নিয়ে যে চার্জশিট জমা দিয়েছে নবী মুম্বই পুলিশ, তাতেই এইসব তথ্য উঠে এসেছে। (Salman Khan)
বৃহস্পতিবার চার্জশিট জমা দিয়েছে নবী মুম্বই পুলিশ। তাতে বলা হয়েছে, জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিশ্নোইয়ের বিশ্নোই গ্যাং-ই ২৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সলমনকে খুনের বরাত দিয়েছিল। এর জন্য পাকিস্তান থেকে AK 47, AK 92 এবং M 16 আগ্নেয়াস্ত্র কেনার চেষ্টা চালাচ্ছিল দুষ্কৃতীরা। পাশাপাশি থেকে তুরস্ক থেকে জিগানা পিস্তল কেনার পরিকল্পনাও ছিল, যা দিয়ে খুন করা হয় পঞ্জাবের গায়ক সিধু মুসেওয়ালাকে।(Bollywood Updates)
সলমনকে খুন করতে ১৮ বছরর কমবয়সি ছেলেদেরও দলে টানা হয় হয় বলে জানা গিয়েছে। আততায়ীরা সব পুণে, রায়গড়, ঠাণে, নবি মুম্বইয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সলমনের গতিবিধির উপর নজর রাখছিল ৬০ থেকে ৭০ জনের একটি দল। বান্দ্রায় সলমনের বাড়ি, পানভেলের ফার্ম হাউস এবং গোরেগাঁওয়ে ফিল্ম সিটির উপরও নজর রাখা হচ্ছিল সর্বক্ষণ।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অগাস্ট থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যে সলমনকে খুনের ষড়যন্ত্র রচিত হয়। এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত সুখা নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হরিয়ানার পানিপত থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অজয় কাশ্যপ ওরফে একে নামের শ্যুটার এবং আরও চারজনকে সে সলমনকে খুনের বরাত দেয়। সেই মতো অজয় এবং তার লোকজন সলমনের বাড়ির চারপাশ রেকিও করে। কিন্তু সলমন যেহেতু নিরাপত্তা পান, বুলেটপ্রুফ গাড়িতে চাপেন, তাই অত্যাধুনিক অস্ত্রের প্রয়োজন অনুভব কর সুখা।
এর পরই ভিডিও কলের মাধ্যনে পাকিস্তানের বেআইনি অস্ত্র ব্যবসায়ী ডোগরের সঙ্গে যোগাযোগ করে সুখা। অস্ত্রশস্ত্র ভিডিও কলেই পরখ করেন নেয় সুখা। জানায়, অস্ত্র হাতে পাওয়ার আগে ৫০ শতাংশ এবং অস্ত্র হাতে পাওয়ার পর বাকি ৫০ শতাংশ টাকা পৌঁছে দেবে। সলমনকে খুন করতে একেবারে প্রস্তত ছিল সুখা এবং তার লোকজন। শুধু কানাডা থেকে গোল্ডি ব্রার এবং লরেন্সের ভাই আনমোল বিশ্নোইয়ের কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার অপেক্ষা করছিল।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, সলমনকে খুন করে কন্যাকুমারীতে একত্রিত হওয়ার পরিকল্পনা ছিল দু্ষ্কৃতীদের। সেখান থেকে নৌকায় চেপে প্রথমে শ্রীলঙ্কা এবং পরবর্তীতে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার ছক ছিল, যেখানে ভারতীয় তদন্তকারীরা তাদের নাগাল পাবে না। সম্প্রতি বান্দ্রায় গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাড়িতে কয়েক রাউন্ড গুলি চলার পর তদন্তে নেমেই বাকি তথ্য হাতে আসে পুলিশের। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবা সিদ্দিকি খুন হওয়ার পর সলমনকে নিয়ে উদ্বেগ আরও বেড়েছে। সেই কারণে তাঁর বাড়ির বাইরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।