Japan First Female PM: একসময়ের ড্রামার, যৌবনে ছিলেন বাইকার, জাপানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন সানে তাকাইচি, কিন্তু অসন্তোষ মেয়েদের মধ্যেই
Sanae Takaichi: ৬৪ বছর বয়সি সানে ক্ষমতাসীন লিবারাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্যা।

টোকিও: এই প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী পাচ্ছে জাপান। অভিজ্ঞ রাজনীতিক, সানে তাকাইচি দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন। ক্ষমতাসীন কনজ়ারভেটিভদের নেতৃত্ব দেবেন তিনি। কিন্তু প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী পেলেও খুশি নন জাপানের মহিলা জনসংখ্য়ার বড় অংশ। তাঁর রক্ষণশীল মানসিকতা, জাতীয়তাবাদী আদর্শ নিয়ে অস্বস্তিতে অনেকেই। (Japan First Female PM)
৬৪ বছর বয়সি সানে ক্ষমতাসীন লিবারাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্যা। জাপান সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রীও। সামলেছেন অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, অভ্যন্তরীণ এবং লিঙ্গসাম্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক। একসময় টেলিভিশনে সঞ্চালনা করার পাশাপাশি। সঙ্গীতের অনুরাগী সানে মেটাল ড্রামারও। পাশাপাশি, মোটর সাইকেলের অনুরাগী তিনি। যৌবনে নিজের একটি Kawasaki Z400 মোটর সাইকেল ছিল তাঁর। তাতে চেপে ঘুরে বেড়াতেন। (Sanae Takaichi)
জাপানের রাজনীতিতে সানে অন্যতম জনপ্রিয় মুখ। কিন্তু তাঁকে নিয়ে বিতর্কও কম নয়। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যে সময় দায়িত্বগ্রহণ করতে চলেছেন তিনি, তা অত্যন্ত গুরুতর। শ্লথ অর্থনীতি, মুদ্রাস্ফীতি থেকে দেশকে উদ্ধার করে আনার গুরুদায়িত্ব তাঁর কাঁধেই চাপতে চলেছে। সেই সঙ্গে, বাণিজ্যশুল্ক নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে টানাপোড়েনও চলছে জাপানের।
সংসদের অনুমোদন মিললেও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কার্যভার গ্রহণ করবেন সানে। জাপানের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন তিনি। টোকিওর টেম্পল ইউনিভার্সিটির এশিয়ান স্টাডিজ বিভাগে ডিরেক্টর জেফ কিংস্টনের মতে, লিবারাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কট্টরপন্থী শাখার অংশ সানে। দক্ষিণপন্থী ভোটারদের মনজয় করতেই বেছে নেওয়া হয়েছে তাঁকে। কিন্তু মার্গারেট থ্যাচারের অনুরাগী সানের হাতে জাপানের কতটা উন্নতি হবে, তা নিয়ে সংশয়ী অনেকেই।
কারণ একসময় লিঙ্গসাম্য মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলালেও, নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর অধিকার সুনিশ্চিতকরণে সানের ভূমিকা বরাবরই বিতর্কিত। এব্য়াপারে তাঁর অবস্থান বরাবরই রক্ষণশীল। বিয়ের পর মেয়েদের বাপের বাড়ির পদবী ধরে রাখার ঘোর বিরোধী তিনি। ভাল স্ত্রী এবং মা হয়ে ওঠা মেয়েদের জীবনের লক্ষ্য় হওয়া উচিত, এই ধারণার সমর্থক তিনি। জাপানের রাজ পরিবারে ছেলেরাই উত্তরাধিকারী হতে পারেন একমাত্র। সেই রীতিরও সমর্থক সানে। সমলিঙ্গের মানুষের বিয়েরও বিরোধিতা করে এসেছেন বরাবর।
বিতর্কিত Yasukuni সৌধে নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে সানের, যেটি যুদ্ধে নিহত লোকজন, এমনকি দোষী সাব্যস্ত হওয়া যুদ্ধাপরাধীদের সৌধ হিসেবে পরিচিত। যদিও নির্বাচনে প্রচারে সানে দাবি করেন, তাঁর মন্ত্রিসভায় মহিলাদের বড় দায়িত্ব দেওয়া হবে। মেয়েদের স্বাস্থ্য় নিয়ে পুরুষদের মধ্য়ে সচেতনতা বাড়া উচিত, স্কুল এবং কর্মক্ষেত্রে এ ব্য়াপারে সচেতনতা তৈরির কথাও বলেন তিনি।






















