Saquib Nachan: ভারতে ISIS-এর প্রধান, প্রাক্তন SIMI অপারেটিভ, ব্রেন হ্যামরেজে মৃত্য়ু কুখ্য়াত জঙ্গি নেতার, বন্দি ছিল তিহাড়ে
Tihar Jail: ২০২৩ সাল থেকে দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি ছিল সাকিব।

নয়াদিল্লি: জেলবন্দি থাকাকালীনই অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তির চার দিন পরই শেষ। মারা গেল জঙ্গি সংগঠন ISIS (Islamic State)-এর ভারতীয় শাখার প্রধান, নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন SIMI (Students Islamic Movement India)-র প্রাক্তন পদাধিকারী সাকিব নাচন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল তার। শনিবার দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করল। বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। (Saquib Nachan)
২০২৩ সাল থেকে দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি ছিল সাকিব। বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখা হয়েছিল তাকে। দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রে ISIS-এর শিকড় ছড়ানোর জন্য তাঁকে গ্রেফতার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা NIA. জেলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে গত মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। (Tihar Jail:)
হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সাকিবের শারীরিক পরীক্ষা হয়। জানা যায়, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে সাকিবের। সেই থেকে গত চার দিন ধরে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে ছিল সাকিব। এদিন সকালে তার অবস্থার অবনতি হয়। শেষ পর্যন্ত দুপুর ১২টা বেজে ১০ মিনিটে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, প্রথমে দীনদয়ার উপাধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সাকিবকে। খবর দেওয়া হয় তার পরিবার-পরিজনদেরও। পরিস্থিতির অবনতি হলে সফদরজংয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিন সেখানেই মারা যায় সাকিব। আপাতত ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে তার দেব। রবিবার বোরিভালিতে শেষকৃত্য হবে তার।
পুরো নাম সাকিব আব্দুল হামিদ নাচন। মহারাষ্ট্রের ঠাণের পডঘা শহরের বাসিন্দা আদতে। নয়ের দশকের শেষ এবং ২০০০-এর গোড়ার দিকে SIMI-র অন্যতম মুখ হয়ে ওঠে সাকিব। দেশ বিরোধী কাজের অভিযোগে ২০০১ সালে SIMI-কে নিষিদ্ধ করা হয়।
২০০২ এবং ২০০৩ সালে মুম্বইয়ে পর পর বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্ত শুরু হলে, তাতে সাকিবের নাম উঠে আসে। মুম্বই সেন্ট্রাল, ভিলে পার্লে এবং মুলুন্ডে যে বিস্ফোরণ ঘটে, যাতে ১৩ জন মারা যান এবং শতাধিক মানুষ আহত হন, তাতে সাকিব যুক্ত ছিল বলে জানা যায়।
শেষ পর্যন্ত বেআইনি আস্ত্র আইনে দোষী সাব্য হয় সাকিব। তার কাছে একটি AK-56 ছিল বলেও জানা যায়। সন্ত্রাস প্রতিরোধী আইনে ১০ বছর জেল হয় তার। ২০১৭ সালে সেই সাজার মেয়াদ পূর্ণ হয়। ভাল আচরণের জন্য মাচ মাসের সাজা মকুব তার। কিন্তু ২০২৩ সালে ফের গ্রেফতার হয় সাকিব। NIA জানায়, দিল্লি-পডঘায় ISIS-এর শিকড় ছড়ানোর দায়িত্বে ছিল সাকিব।






















