মহিলাদের স্থায়ী কমিশন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় স্বাগত, নিয়োগে স্বচ্ছতা আসবে: সেনাপ্রধান
সোমবার এক ঐতিহাসিক রায়ে শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয়, সেনাবাহিনীতে মহিলাদেরকেও স্থায়ী কমিশন এবং কমান্ডের পোস্টিং দিতে হবে।
নয়াদিল্লি: সেনায় মহিলাদের স্থায়ী কমিশনের মঞ্জুরিতে সিলমোহর দেওয়াটা সুপ্রিম কোর্টের যুগান্তকারী রায়। এর ফলে, ভবিষ্যতের লিঙ্গ সম্যতার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। এমনটাই জানালেন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে।
সোমবার এক ঐতিহাসিক রায়ে শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয়, সেনাবাহিনীতে মহিলাদেরকেও স্থায়ী কমিশন এবং কমান্ডের পোস্টিং দিতে হবে। নারাভানে বলেন, ভারতীয় সেনা কোনও জওয়ানকে তাঁর ধর্ম, জাত, বর্ণ ও লিঙ্গের মধ্যে বিভেদ করে না। ভারতীয় সেনার দৃষ্টিভঙ্গি চিরকাল এমনই ছিল। তাই তারা ১৯৯৩ সাল থেকে মহিলাদের বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করে আসছে।
নারাভানে জানান, ইতিমধ্যেই জওয়ান পদে মহিলাদের অন্তর্ভুক্তিকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে সেনায়। প্রথম ব্যাচে ১০০ জন মহিলা জওয়ান কোর অফ মিলিটারি পুলিশ সেন্টার অ্যান্ড স্কুল-এ প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
সেনাপ্রধান বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত। এর ফলে, সংগঠনের দক্ষতা আরও বৃদ্ধি করতে অফিসার নিয়োগের ক্ষেত্রে একটা স্বচ্ছতা ও লক্ষ্য থাকবে। আমি আশ্বস্ত করতে চাই যে, ভারতীয় সেনায় মহিলা সহ সকলকে সমান সুযোগ দেওয়া হয়। যাতে সকলে দেশের জন্য সমান অবদান রাখতে পারেন এবং কেরিয়ারে এগিয়ে যান।
অন্যদিকে, জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি ঘটনার সংখ্যা কমেছে বলেও দাবি করেন সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, সেনা ক্রমাগত জঙ্গিগোষ্ঠীর ওপর চাপসৃষ্টি করে চলেছে। পাশাপাশি, ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ) সম্প্রতি পাকিস্তানকে এখনও ‘ধূসর তালিকা’-য় রেখে দেওয়ার ফলেও জঙ্গি কার্যকলাপের মাত্রা কমেছে বলে দাবি করেন তিনি।
সেনাপ্রধান বলেন, পাকিস্তানকে এখন নিজেদের কৌশল পরিবর্তন করতে হবে। কারণ, এখন সব-মরশুমের বন্ধু চিনের পক্ষেও পাকিস্তানকে সমর্থন করা সম্ভব হবে না।