Hasina On Bangladesh : 'সারা বাংলাদেশ জ্বলছে,ন্যায়বিচার নেই' চিন্ময়কৃষ্ণের গ্রেফতারি নিয়ে এবার মুখ খুললেন হাসিনা, দিলেন কড়া বার্তা
এটা কোন ধরনের বিচার যে, একজন আসামির পক্ষে আইনজীবী দাঁড়াতে পারবে না? প্রশ্ন তুললেন হাসিনা ।
কলকাতা : হিন্দু দেখলেই বাংলাদেশে কট্টরপন্থীদের হামলার মুখে পড়তে হচ্ছে। ভারতে এসেও সেই আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারছেন না বাংলাদেশের নাগরিকরা। জমি-বাড়ি ফেলে, অনেকেই চলে আসছেন ভারতে। এই পরিস্থিতিতে ইসকনের সন্ন্যাসীকে ১৪ দিন ধরে বিনা বিচারে জেলে আটকে রাখা নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন ভারতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনা।
হাসিনা বললেন, ' আমাদের আওয়ামি লিগের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ বাহিনীকে হত্যা করা হয়েছে। সংখ্যালঘুদের হত্যা করা হয়েছে। তাদের বাড়িঘর লুঠপাট, মন্দির, দরগা-শরিফ, মন্দির, গির্জা ধ্বংস করা হয়েছে। মানুষের কথা বলার অধিকার আর নেই। ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার নেই। মৌলিক অধিকার থেকে মানুষ বঞ্চিত, এইটাই হচ্ছে সবথেকে দুঃখের। আজকে যখন বাংলাদেশ অত্যন্ত একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, একটা ফ্যাসিস্ট সরকারের অধীনে বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার সবই হরণ করা হয়েছে। সারা বাংলাদেশ জ্বলছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান আগুনে পোড়ানো, সেই অবস্থাতেও প্রবাসীরা আজকে নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের পাশে আছেন। একজন সাধু চিন্ময়কৃষ্ণ দাস, তাঁকে গ্রেফতার করা হল, কিন্তু তাঁর পক্ষে আইনজীবী দাঁড়াতে পারবে না। এটা কোন ধরনের বিচার যে, একজন আসামির পক্ষে আইনজীবী দাঁড়াতে পারবে না? যদি কোনও আসামি আইনজীবী না দিতে পারে, এটা সরকারের দায়িত্ব আইনজীবী নিয়োগ করা, ন্যায়বিচারের স্বার্থে।বাংলাদেশে ন্যায়বিচার নেই। '
বাংলাদেশজুড়ে এখন রমরমিয়ে চলছে ভারত-বিদ্বেষী প্রচার। আর খোলাখুলিভাবে সেই প্রচার করছে, অন্তর্বর্তী সরকারেরই মাথারা। যেমন সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ভারতকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান, মহম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। আর ইউনূস বলেছেন , শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য, ভারতের কাছে অনুরোধ জানানো হবে। তিনি প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, আইন মেনে হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করতে ভারত বাধ্য।
অন্যদিকে ইসকনকে লাগাতার আক্রমণ করে যাচ্ছে বাংলাদেশে মৌলবাদীরা। ভিডিও পোস্ট করে কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ভিডিওতে এক কট্টরপন্থী ইসলামী নেতাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, 'ইসকনকে বাংলাদেশ থেকে উপড়ে ফেলতে। যারা এদের রক্ষক হবে, তাদেরকেও মুছে দিতে হবে' । আর এরপর রাধারমণ দাস আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, 'গণহত্যা যদি শুরু করে দেয়, এটা কারও নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। '
আরও পড়ুন :
'বর্ষবরণের রাতে আতসবাজিতে না', বাংলাদেশে এবার উৎসব পালনেও তালিবানি ফতোয়া?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।