Domestic Violence Case: ‘মঙ্গলসূত্র-টিপ পরেন না, স্বামী আগ্রহ দেখাবেন কেন’? গার্হস্থ্য হিংসা মামলায় স্ত্রীর উদ্দেশে আদালতের মন্তব্যে বিতর্ক
Session Court Remarks on Wife: মহারাষ্ট্রের পুণের দায়রা আদালতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী অঙ্কুর আর জাগিরদার।

নয়াদিল্লি: বিচার চাইতে আদালতের দ্বারস্থ হন সাধারণ মানুষ। কিন্তু সেই আদালতের কিছু মন্তব্য বিতর্কের উদ্রেক ঘটায়। মহারাষ্ট্রের দায়রা আদালতের সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়েও বিতর্ক দেখা দিয়েছে। গার্হস্থ্য হিংসার মামলায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মীমাংসা করাতে গিয়ে আদালত মহিলার সাজ-পোশাক নিয়ে মন্তব্য করে বলে জানা গিয়েছে। বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। (Domestic Violence Case)
মহারাষ্ট্রের পুণের দায়রা আদালতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী অঙ্কুর আর জাগিরদার। LinkedIn পোস্টে ঘটনাক্রম তুলে ধরেছেন তিনি। অঙ্কুর জানিয়েছেন, একিট গার্হস্থ্য হিংসা মামলার শুনানি চলছিল আদালতে। সেখানে স্বামী-স্ত্রী মীমাংসা করে নিন, এমনটাই চাইছিলেন বিচারক। তিনিই সাজপোশাক নিয়ে ওই মহিলাকে বেঁধেন। (Session Court Remarks on Wife)
অঙ্কুর জানিয়েছেন, গার্হস্থ্য হিংসার মামলায় স্বামী-স্ত্রীকে মিটমাট করে নিতে বলছিলেন ওই বিচারক। মহিলা তাতে রাজি না হওয়ায়, বিচারক তাঁর উদ্দেশে বলেন, “দেখতে পাচ্ছি গলায় মঙ্গলসূত্র নেই, কপালে টিপ নেই। আপনার আচরণ যদি বিবাহিত নারীর মতো না হয়, তাহলে আপনার প্রতি স্বামীর আগ্রহ জন্মাবেই বা কেন?”

দেখুন পোস্ট: https://www.linkedin.com/feed/update/urn:li:activity:7302193452602003456/
আইনজীবী অঙ্কুর লেখেন, ‘বিচারকদের অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য তুলে ধরার কোনও উপায় না থাকা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। জেলা আদালতগুলিতে এমন অনেক কিছু ঘটে, যাতে যুক্তিবাদী, শিক্ষিত মানুষের বিবেক ধাক্কা খেতে বাধ্য। আসলে কিছু জঘন্য জিনিসের প্রতি সহনশীল আমাদের সমাজ, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক’।
No mangalsutra, bindi? Why would your husband be interested? Judge to woman during mediation
— Bar and Bench (@barandbench) March 5, 2025
The estranged couple had appeared before a judge for mediation of their domestic violence dispute.
Read more: https://t.co/zx2I6gO4aP pic.twitter.com/YKvBM4EX7s
এমন আরও একটি ঘটনার নিদর্শন তুলে ধরেন আইনজীবী অঙ্কুর। তিনি জানান, গার্হস্থ্য হিংসরা এমন আর একটি মামলায় দায়রা আদালতের বিচারক তাঁর মক্কেলকে নমনীয় হওয়ার পরামর্শ দেন। বিচারকের বক্তব্য ছিল, “মহিলা ভাল রোজগেরে হলে, বিয়ের জন্য আরও বেশি রোজগেরে পাত্র খোঁজেন তিনি। কম রোজগেরে কারও সঙ্গে সংসার পাতেন না। কিন্তু বেশি রোজগেরে পুরুষ কম রোজগেরে মেয়েকে বিয়ে করেন। তিনি বাড়িতে বাসন মাজতে আসা মেয়েকেও বিয়ে করতে পারেন। পুরুষরা কত নমনীয় দেখুন। আপনাকেও নমনীয় হতে হবে। এত জেদি হলে চলবে না।”






















