(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Air India Flight: মাঝ আকাশে তীব্র ঝাঁকুনি বিমানে! গুরুতর আহত একাধিক যাত্রী
Air India: যান্ত্রিক গোলযোগের কারণেই উড়ানের পর মাঝ আকাশে বিমানটি হঠাৎ কেঁপে ওঠে বলে অনুমান। জানা গিয়েছে ঝাঁকুনির ফলে যাত্রীরা বিমানের আসন থেকে এদিক, ওদিক ছিটকে পড়ে যান।
নয়া দিল্লি: এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ফের বিপত্তি। এবার মাঝ আকাশে হঠাৎ তীব্র ঝাঁকুনি এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে। যার জেরে অনেক যাত্রী আহত হয়েছেন। মাঝ আকাশে বিমানে ঝাঁকুনির ফলে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
বুধবার দিল্লি থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান সিডনির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণেই উড়ানের পর মাঝ আকাশে বিমানটি হঠাৎ কেঁপে ওঠে বলে অনুমান। জানা গিয়েছে ঝাঁকুনির ফলে যাত্রীরা বিমানের আসন থেকে এদিক, ওদিক ছিটকে পড়ে যান। ধাক্কা লেগে চোট পান অনেকেই। সূত্রের খবর, যান্ত্রিক গোলযোগের কারণেই বিমানটি হঠাৎ কেঁপে ওঠে।
এরপর সিডনিতে নামার পরই আহত যাত্রীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় বিমানবন্দরেই। এয়ার ইন্ডিয়া সূত্রে খবর, মাঝ আকাশে চিকিৎসক ও বিমানকর্মীরা আহত যাত্রীদের প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা দেন।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন(ডিজিসিএ) সূত্রে খবর, বিমানের ৭ জন যাত্রী আহত হন। তাঁদের বিমানের মধ্যে থাকা চিকিৎসক এবং বিমানকর্মীরা প্রাথমিক চিকিৎসা করেন। পরে বিমানবন্দরেও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। কারও আঘাত তেমন গুরুতর নয় বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, বিমানে বসে বিড়িতে সুখটান। হাজতে ঠাঁই হল এক প্রৌঢ়ের। প্রথম বার বিমানযাত্রাতেই এমন অবস্থা হল। তিনি সহযাত্রীদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। যদিও প্রথমবার বিমানযাত্রা করছেন বলে নিয়মকানুন সে ভাবে জানা ছিল না, এমন যুক্তি দিয়েছেন ওই প্রৌঢ়। ট্রেনযাত্রায় অহরহ বিড়িতে টান দিলেও কখনও এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি বলে আক্ষেপও শোনা গিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, পুলিশের কাছে বয়ানে অভিযুক্ত বলেন, "নিয়মিত ট্রেনে চেপে যাত্রা করি। শৌচালয়ে গিয়ে ধূমপানও করি। বিমানেও তা করা যায় ভেবেছিলাম। তাই বিড়ি জ্বালিয়ে বসেছিলাম।" যদিও গোটা ঘটনায় বিমান সংস্থার ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে। তল্লাশির সময় ওই প্রৌঢ়ের কাছে থাকা বিড়ি কেন ধরা গেল না, উঠছে প্রশ্ন। তাই গাফিলতির অভিযোগ সামনে আসছে। এর আগেও বিমানে বসে সিগারেটের ধোঁয়া ওড়ানোর একাধিক অভিযোগ সামেন এসেছে। তাতে বিমান সংস্থার দায়িত্ববোধই প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
আরও পড়ূন, গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘামতে শুরু করি কেন, এর পেছনে বৈজ্ঞানিক কারণ কী ?