Mamata Banerjee: আজ তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক, কী নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা?
TMC Meeting: ৬ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে ফের সবুজ ঝড়। নিশ্চিহ্ন বিরোধীরা। আর এই প্রেক্ষাপটেই সোমবার কালীঘাটে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে বসছে তৃণমূল।
কলকাতা: সোমবার কালীঘাটে তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। পুরসভা থেকে জেলা সভাপতি রদবদলের বিষয়ের পাশাপাশি সাংগঠনিক পরিকাঠামোয় পরিবর্তন নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্রের খবর, বৈঠকে থাকবেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। জামিনে মুক্তির পর প্রথমবার মুখোমুখি হবেন দলনেত্রীর। অন্যদিকে, সূত্রের খবর, বৈঠকে এখনও আমন্ত্রণ পাননি তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়।
৬ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে ফের সবুজ ঝড়। নিশ্চিহ্ন বিরোধীরা। আর এই প্রেক্ষাপটেই সোমবার কালীঘাটে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে বসছে তৃণমূল। তৃণমূল সূত্রে খবর, এই বৈঠকে উঠে আসতে পারে একাধিক বিষয়। লোকসভার পুরসভাভিত্তিক ফল বিশ্লেষণ করে একাধিক পুরসভার চেয়ারম্য়ান ও ভাইস চেয়ারম্য়ানের রদবদল নিয়ে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের কাছে রিপোর্ট দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সূত্রের খবর, সুব্রত বক্সীও একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। সোমবারই রদবদলের সিদ্ধান্ত না নিলেও, সাংগঠনিক পরিকাঠামোয় কিছু পরিবর্তন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
শনিবার ৬ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল। একই দিনে মহারাষ্ট্রে ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। ফলে ইন্ডিয়া জোটে নিজেদের গুরুত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করতে পারে তৃণমূল। সোমবার থেকে সংসদে শুরু হচ্ছে শীতকালীন অধিবেশন। সেখানে, আদানি ইস্যু থেকে ওয়াকফ বিলের বিরোধিতায় দলের অবস্থান কী হবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই দিশা ঠিক করে দিতে পারেন বলে সূত্রের খবর।
প্রায় ২ বছর পর ফের বৈঠকে বসছে তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতি। তৃণমূলনেত্রী -সহ মোট ২২ জন সদস্য রয়েছেন এই কর্মসমিতিতে। তবে, সূত্রের খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় থেকে সুব্রত বক্সী, ফিরহাদ হাকিম থেকে অরূপ বিশ্বাস, শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যদের আসার কথা থাকলেও, এখনও আমন্ত্রণ পাননি তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। আর জি কর কাণ্ডের আবহে প্রথমে রাত দখলের কর্মসূচিকে সমর্থন করে সেই রাতেই অবস্থানে বসেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর। এরপর কয়েকধাপ এগিয়ে সরাসরি কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি তোলেন তিনি।
১ সেপ্টেম্বর আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে শহরজোড়া নাগরিক মিছিলের দিন, বাস্তিল দুর্গের পতনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন সুখেন্দুশেখর রায়। এই প্রেক্ষাপটেই, জাগো বাংলার সম্পাদক পদে তাঁর জায়গায় আনা হয় শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায়কে। এবার বৈঠকে ডাক না পাওয়ার সঙ্গেও সেইসব ঘটনার যে যোগ আছে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তৃণমূল বিধায়ক ও পুরমন্ত্রী বলেন, "দেখুন দলের শৃঙ্খলা সবথেকে আগে। আমি দলের শৃঙ্খলার জায়গায় যা ইচ্ছে বলব, সেটা হয় না।রাজ্য সরকারের সঙ্গে আর জি করের কোনও সম্পর্ক ছিল না। আমরাও চাই এর ফাঁসি হোক। জুনিয়র ডাক্তার যারা আন্দোলন করে একই ইস্যু চাইছে। এটাকে যে সমর্থন করেছে পার্টি তার সাথে থাকবে না।''
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Hooking: বিধায়কের শাশুড়ির বাড়িতে হুকিং, খবর সম্প্রচারের পর খোলা হল লাইন