(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Bangladesh Crisis: 'বাংলাদেশে সরকার পড়ত না যদি আমেরিকাকে...', ভাইরাল 'হাসিনার চাঞ্চল্যকর দাবি' !
ভারতে উড়ে আসার আগে, জাতীর উদ্দেশে ভাষণ দিতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
নয়াদিল্লি : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে ভারতে উড়ে আসার আগে, জাতীর উদ্দেশে ভাষণ দিতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা। কিন্তু, সরকার-বিরোধী আন্দোলনের রোষ তাঁর উপর পড়তে পারে, এই আশঙ্কায় সেনা তাঁকে সেই অনুমতি দেয়নি। শেখ হাসিনার সেই না দেওয়া ভাষণ এখন ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (এবিপি লাইভ এর সত্যতা বিচার করেনি)। সেই অনুযায়ী, ৭৬-এর আওয়ামী লিগ নেত্রী আমেরিকার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন। সেখানে নাকি তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তাঁর বহিষ্কারের পেছনে ভূমিকা থাকতে পারে ওয়াশিংটনের। সেই বক্তব্যে হাসিনার দাবি ছিল, আমরিকাকে যদি তিনি সেন্ট মার্টিন দ্বীপ হস্তান্তর করে দিতেন, তাহলে তাঁর সরকার বেঁচে যেত। কিন্তু, তাঁর বিরুদ্ধে চলা আন্দোলনের মাঝেই কেন সার্বভৌমত্ব ইস্যুতে কৌশলের অংশ এই দ্বীপের কথা তুলতে চেয়েছিলেন হাসিনা ? সেন্ট মার্টিন দ্বীপের তাৎপর্য কী ? আমেরিকারই বা তা নিয়ে আগ্রহ কেন ?
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ কোথায় ?
বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্ব দিকে রয়েছে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ। এটি মূলত প্রবাল দ্বীপ। বাংলাদেশের দক্ষিণতম উপদ্বীপের প্রান্ত থেকে প্রায় নয় কিলোমিটার দক্ষিণে ও কক্সবাজার-তেকনাফ, মায়ানমারের কাছে। এটি বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। এই দ্বীপে ভূপৃষ্ঠ এলাকা রয়েছে মাত্র তিন বর্গকিলোমিটার। সেখানে প্রায় ৩৭০০ মানুষ বসবাস করেন। যাঁরা মূলত মাছ ধরে, চাল উৎপাদন করে, নারকেল চাষ করে এবং সামুদ্রিক শৈবাল শুকিয়ে মায়ানমারে রফতানি করে জীবনধারণ করেন।
সম্প্রতি এই দ্বীপটি লাইমলাইটে চলে এসেছে। কারণ, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি নাকি এই দ্বীপটি আমেরিকাকে বিক্রি করে দিতে চাইছে। এমনই অভিযোগ। আমেরিকা ভোটে জিততে সাহায্য করার শর্তে এই দ্বীপটি নিয়ে সামরিক ছাউনি তৈরি করতে চাইছে।
যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট। উল্টে তাদের বক্তব্য, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এবং অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ আমেরিকা।
এই দ্বীপে প্রচুর পরিমাণে নারকেল গাছ আছে, তাই একে নারকেল দ্বীপও বলা হয়। এছাড়া এই দ্বীপটিকে দারচিনি দ্বীপও বলা হয়। ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্ভুক্ত ছিল এই দ্বীপটি। এখান থেকে মায়ানমারকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। দেশভাগের আগে পর্যন্ত তা-ই ছিল। দেশভাগের পর এই দ্বীপটি পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।