এক্সপ্লোর
Advertisement
ঠিকানা তৃণমূল? ‘মমতাকে শ্রদ্ধা না করে উপায় নেই,’ দলের প্রতি একরাশ ক্ষোভ উগরে সরব প্রয়াত সোমেন মিত্রের পুত্র, সঠিক, বললেন পার্থ
তৃণমূলের সঙ্গে ‘ঘর করার’ অভিজ্ঞতা আছে মা-বাবার। তেমনই তিক্ততা নিয়ে তৃণমূল-ত্যাগের দৃষ্টান্তও আছে। অতীত ভুলে কি এবার তৃণমূলের পথে প্রয়াত সোমেন মিত্রর ছেলে? তাঁর এহেন মমতা-স্তুতি আর সোশাল মিডিয়ায় সাম্প্রতিক কিছু পোস্ট ঘিরে এমনই জল্পনা দানা বেধেছে রাজ্য-রাজনীতিতে।
কলকাতা: দলের প্রতি একরাশ ক্ষোভ উগরে এবার প্রয়াত সোমেন মিত্রের ছেলে রোহন মিত্রের গলায় মমতা-স্তুতি। জল্পনা বাড়িয়ে জানালেন, তৃণমূল নেত্রীর প্রতি তিনি শ্রদ্ধাশীল। তবে কি তৃণমূলের পথে রোহন? ‘মমতাকে শ্রদ্ধা না করে উপায় নেই, মমতার প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল’, প্রদেশ কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদকের এমন মন্তব্য ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে।
তৃণমূলের সঙ্গে ‘ঘর করার’ অভিজ্ঞতা আছে মা-বাবার। তেমনই তিক্ততা নিয়ে তৃণমূল-ত্যাগের দৃষ্টান্তও আছে। অতীত ভুলে কি এবার তৃণমূলের পথে প্রয়াত সোমেন মিত্রর ছেলে? তাঁর এহেন মমতা-স্তুতি আর সোশাল মিডিয়ায় সাম্প্রতিক কিছু পোস্ট ঘিরে এমনই জল্পনা দানা বেধেছে রাজ্য-রাজনীতিতে। তিনি আরও বলেছেন, গান্ধী পরিবার, কংগ্রেস আমার আবেগ, কী হবে আগামী দিনে জানি না, কোনও পদক্ষেপ নিলে দিল্লি জানতে পারবে।
কিন্তু কেন বেসুরো সোমেন-পুত্র? সূত্রের খবর, দলের কর্মকাণ্ড নিয়ে তিনি ক্ষুব্ধ। এই নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে বৃহস্পতিবার রোহন ট্যুইটে লেখেন, দক্ষিণ কলকাতা লোকসভার ভোটার, বালিগঞ্জ বিধানসভার ভোটার, ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার, প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। তবু নিজের জেলার কর্মী সম্মেলনে ডাক নেই! নির্দেশ দিচ্ছে কে?
ট্যুইটে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে ট্যাগ করেন রোহন, যা রাজনৈতিক মহলে জল্পনার জন্ম দিয়েছে।
অধীরের নেতৃত্বাধীন প্রদেশ কংগ্রেসের কাজকর্ম নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রোহন। বলেছেন, কাজি আবদুর রহিম দিলু বীরভূমের পর্যবেক্ষক হয়েছিলেন, তাই দল ছাড়তে বাধ্য হলেন। সোমেন মিত্রর কর্মভূমি মধ্য ও উত্তর কলকাতা হলেও সেখানে আমাকে কাজের সুযোগ দেওয়া হয়নি, উল্টে বাঁকুড়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, বাবার সময়ে মৌসম ছাড়া কেউ ছাড়েনি, এখন অনেকে ছাড়ছেন।
জল্পনা চললেও রোহনের মন্তব্যকে ইতিবাচক মনে করছে তৃণমূল। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, সোমেন মিত্র প্রবীণ ব্যক্তি, টিএমসিতে এসেছিলেন। তাঁর পরিবারের যদি কেউ মমতার প্রতি আস্থাশীল হয়, তবে তা বিস্ময়ের নয়, সঠিক সিদ্ধান্ত।
বঙ্গ রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা বলছেন, একসময় সোমেনের সঙ্গে সংঘাতের জেরেই কংগ্রেস ছেড়েছিলেন মমতা। সেই সোমেনই একসময় যোগ দেন তৃণমূলে। ২০০৯ সালে তৃণমূলের টিকিটেই ডায়মন্ডহারবার থেকে সংসদে যান সোমেন মিত্র। স্ত্রী শিখা মিত্রও দু’বার তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক হন। কিন্তু, সংঘাতের জেরে ২০১৪ সালে সস্ত্রীক তৃণমূল ছেড়ে সোমেন যোগ দেন কংগ্রেসে।
২০১৮-তে থেকে আমৃত্যু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন সোমেন। তাঁর প্রয়াণের সাড়ে ৩ মাসের মাথায় তাঁর ছেলে রোহনকে নিয়ে জল্পনা শুরু।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
খবর
ব্যবসা-বাণিজ্যের
ব্যবসা-বাণিজ্যের
জেলার
Advertisement