Sonam Raghuvanshi: ‘সাত জন্মোঁ কা সাথ…’, ঘটনার পর পরই স্বামীর সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে পোস্ট সোনমের?
Raja Raghuvanshi: তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে, গত ২৩ মে ফোটোশ্যুটের নামে রাজাকে নির্জন জায়গায় নিয়ে যান সোনম।

নয়াদিল্লি: মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে স্বামীকে খুনের ঘটনায় খবরের শিরোনামে সোনম রঘুবংশী। স্বামী রাজা রঘুবংশীকে কেন খুন করলেন সোনম, ঠান্ডা মাথায় এত বড় হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা তিনি করলেন কী করে, ভেবে কিনারা করতে পারছেন না কেউই। কিন্তু সোনমই হত্যার নেপথ্যে, তা কী করে বুঝলেন তদন্তকারীরা? জানা যাচ্ছে, সোনমের একটি ‘ভুল’ই তাঁকে ধরিয়ে দেয় বলে জানা যাচ্ছে। (Sonam Raghuvanshi)
তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে, গত ২৩ মে ফোটোশ্যুটের নামে রাজাকে নির্জন জায়গায় নিয়ে যান সোনম। সেখানে কাছাকাছিই লুকিয়ে ছিলে তিন ভাড়াটে খুনি। খুনের আগে রাজার সঙ্গে হিন্দিতে কথাও বলে খুনিরা। এর পর ক্লান্তির ভান করে, পিছনে খানিকটা তফাতে হাঁটতে শুরু করেন সোনম। কিছু দূর গিয়ে খুনিদের উদ্দেশে চিৎকার করে সোনম বলেন, ‘ওকে মেরে ফেল’। (Raja Raghuvanshi)
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে ভাড়াটে খুনিরা রাজাকে খুন করতে রাজি হয়নি। ক্লান্তিতে অবসন্ন হয়ে পড়েছে বলে জানায়। এতে ৪ লক্ষের পরিবর্তে তাদের ২০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন সোনম। শুধু তাই নয়, খুনের পর রাজার দেহ ধাক্কা দিয়ে ফেলার সময়ও সোনম সাহায্য করেন বলে জানা গিয়েছে।
তদন্তে নেমে দেখা যায়, রাজার সঙ্গে মধুচন্দ্রিমার কোনও ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেননি সোনম। কিন্তু খুনের খানিক ক্ষণ পরই, দুপুর ২ টো ১৫ মিনিটে রাজার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে একটি লেখা পোস করা হয়। লেখা হয়, ‘সাত জন্মোঁ কা সাথ হ্যায়’ অর্থাৎ ‘সাত জন্ম একসঙ্গে’। ওই পোস্ট দেখে যাতে রাজা বেঁচে আছেন বলে মনে হয়, তার জন্যই সোনম স্বামীর ফোন থেকে নিজে ওই পোস্ট করেন বলে জানা গিয়েছে।
তদন্তে নেমে ওই পোস্ট দেখেই সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। মারা যাওয়ার পর কেউ নিজের ফোন থেকে, নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে ওই পোস্ট করবেন কী করে, ওঠে প্রশ্ন। রাজার ফোন কি সোনমের কাছে থাকতে পারে, শুরু হয় উত্তর খোঁজার পালা। আর তাতেই দুইয়ে দুইয়ে চার করে ফেলেন তদন্তকারীরা। ৩ এবং ৪ জুন এমন কিছু সূত্র হাতে আসে পুলিশের, যাতে রাজার খুনের নেপথ্যে সোনমের ভূমিকায় সিলমোহর পড়ে।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, রাজাকে খুনের দু’দিন পর শিলং থেকে শিলিগুড়ি হয়ে ইন্দৌর পৌঁছন সোনম। সেখানে প্রেমিক রাজের সঙ্গে দেখা করেন একটি ভাড়া বাড়িতে ওঠেন। এর পর উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর পৌঁছন সোনম, যেখান থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মধ্যপ্রদেশের ইন্দৌরের বাসিন্দা রাজার হত্যাকাণ্ডে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে। স্বামীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন স্ত্রী সোনম, তাঁর প্রেমিক এবং তিন ভাড়াটে খুনি। রাজা খুন হওয়ার পর ১৭ দিন নিখোঁজ ছিলেন সোনম। সোনমই স্বামীকে খুনের বরাত দেন বলে জানা যাচ্ছে।
প্রেমিক রাজের সঙ্গে সোনমের চ্যাটও হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সোনম রাজকে জানান, স্বামী ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছেন, যা ভাল লাগছে না তাঁর। এর পরই রাজাকে খুনের পরিকল্পনা এবং তার পরই মেঘালয় ভ্রমণ বলে জানা গিয়েছে।























