ক্লাসে দুষ্টুমি করায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রকে জলের পাইপ দিয়ে বেধড়ক মার শিক্ষকের
শ্রীরামপুর (হুগলি): ক্লাসে দুষ্টুমি করায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রকে পাইপ দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। থানায় অভিযোগ দায়ের। ঘটনার নিন্দা প্রধান শিক্ষকের। ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রের দাবি, মঙ্গলবার টিফিনের সময় সে তার বন্ধুর সঙ্গে খুনসুটি করছিল। অভিযোগ, তা দেখে ইতিহাসের শিক্ষক টিকেন্দ্রনাথ সরকার। একটি ফাইবারের পাইপ দিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করেন। সে বলে, সবাই কথা বলছিল। স্যর এসে মারতে থাকে। বলে টিসি দিয়ে দেব। ছাত্রের পরিবার শ্রীরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তবে, ছোট্ট ছেলেটি এখন এতটাই আতঙ্কিত, যে সে আর স্কুলেই যেতে চাইছে না। বলে, স্কুলে আর যাব না। কোনওদিন ক্লাস করব না। ভয় পেয়ে গিয়েছি। আহত পড়ুয়ার মা বলেন, কাল রাতে ছেলে ঘুমের মধ্যে বলছিল স্যর মারবেন না। সামান্য দুষ্টুমির জন্য একজন শিক্ষক কীকরে পাইপ দিয়ে কোনও পড়ুয়াকে মারতে পারলেন, তা-ও ভেবে পাচ্ছে না আহত ছাত্রের পরিবার। আহত পড়ুয়ার মা বলেন, কোনও শিশুকে শাসনের নামে যেন নির্যাতন না করে। আরও বড় ক্ষতি হলে কী করত। স্কুলে পাঠাতে ভয় লাগছে। অভিযুক্ত শিক্ষক মারধরের কথা স্বীকার করেছেন। তবে, তাঁর দাবি, হাসপাতালে ভর্তি করার মতো মারধর তিনি করেননি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক অবশ্য গোটা ঘটনার সমালোচনা করেছেন। এদিন অন্য শিক্ষকদের নিয়ে ওই ছাত্রকে দেখতে তার বাড়িতেও যান তিনি। বলেন, উচিত হয়নি। আমরা দুঃখিত। দুর্ঘটনা ভেবে ভুলে যেতে বলব। কারও সঙ্গে না হয়, দেখব। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এদিন স্কুলে গিয়ে ওই ক্লাসের অন্যান্য পড়ুয়া এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে। পরে অভিযুক্ত শিক্ষককে শ্রীরামপুর থানায় ডেকে পাঠিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আইন বলছে, শিশুর উপর মানসিক বা শারীরিক নির্যাতন হলে তিন বছর পর্যন্ত জেল, এক লক্ষ টাকা জরিমানা, বা দুটোই হতে পারে। আবার শিক্ষার অধিকার আইন বলছে, কোনও শিশুকে শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করা যায় না।