উদয়নের বাবা-মার জাল পাসপোর্ট এবং ডেথ সার্টিফিকেট দেখে ফেলায় খুন হন আকাঙ্খা, দাবি পুলিশের
বাঁকুড়া: উদয়নের আগের সব কুকীর্তি জেনে ফেলাই কাল হল আকাঙ্খার। সেজন্যই খুন হতে হল তাঁকে। উদয়নকে জেরার পর দাবি বাঁকুড়া পুলিশের। উদয়নকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, আমেরিকায় চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা রাখতে না পারায় আকাঙ্খার সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরার দাবি, জেরায় উদয়ন জানায়, আমেরিকা নিয়ে না যাওয়ায় প্রায়ই ঝগড়া হত। আকাঙ্খা বলেছিল, আমি সবাইকে বলে চলে এসেছি। কার্যত গৃহবন্দি করে রেখেছিল। পালানোর চেষ্টা করে। টিকিটও কাটে। তারপর খুন। প্লাস্টিক চেপে মৃত্যু নিশ্চিত, পরে নিজেই সিমেন্ট কিনে এনে, লোককে দিয়ে বেদি তৈরি করে। শুধু আকাঙ্খা নয়, কেন বাবা-মাকে খুন করেছে তাও সে জানিয়েছে বলে পুলিশের দাবি। সুখেন্দু হীরা জানান, চাকরি জোটাতে পারেনি বলে বাবা-মা’র চাপ ছিল। ও খুব বিরক্ত ছিল। সেজন্যই খুন। ভেবেছিল, টাকাও মিলবে, আর কেউ আর বিরক্তও করবে না। দীর্ঘদিন ধরে বাবা-মার ফিক্সড ডিপোডিটের সুদের টাকায় চলছিল উদয়নের। জেরায় সে জানিয়েছে, শেষের দিকে তাতে আর বিলাসবহুল জীবনযাত্রার খরচ চালানো যাচ্ছিল না। সুখেন্দু হীরা জানান, ভাঁড়ার শূন্য হয়ে গিয়েছিল, ২ লক্ষ টাকা পার্সোনাল লোনের অ্যাপ্লাই করেছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, পার্সোনাল লোন পেতে, ব্যাঙ্কে নিজেকে রাষ্ট্রপুঞ্জের চাকুরে বলে ভুয়ো নথিও দিয়েছিল উদয়ন। কিন্তু, একের পর এক মিথ্যা বলে সাময়িকভাবে পার পেয়ে গেলেও, শেষপর্যন্ত নিজের মিথ্যের গোলকধাঁধাতেই ফেঁসে গেল সে।