Alipurduar School Open: নেই মাস্ক, গাদাগাদি করেই ক্লাস করছিল কচিকাঁচারা !! বিডিও পৌঁছে যা করলেন ...
বেশিরভাগের মুখে মাস্কও নেই। শুধু ছোটরা নয়, দেখা গেল উঁচু ক্লাসের পড়ুয়াদেরও।
অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার : করোনা আবহে এখনও স্কুল-কলেজ খোলার অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। পরীক্ষা না নিয়েই বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতিতে ফল বেরিয়েছে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের ফল। পরীক্ষা দিলে ভাল হত, বলে মনে করছেন কিছু ছাত্রছাত্রী। স্কুলের মাঠ, বন্ধুবান্ধব, সামনাসামনি শিক্ষকদের থেকে পড়া বুঝে নেওয়া এসব থেকে বহু দূরে পড়ুয়ারা। শহর থেকে গ্রামগঞ্জ, সব জায়গাতেই চলছে অনলাইনে পড়াশোনা। অথচ এ রাজ্যেই দেখা গেল নিয়ম ভাঙার ছবি। দক্ষিণ দিনাজপুরের পর এবার নিয়ম ভাঙার ছবি ধরা পড়ল আলিপুরদুয়ারের কালচিনিতে।
সরকারি নির্দেশিকা উপেক্ষা করে এ রাজ্যেই চলছিল স্কুল। ছোট থেকে বড়, ক্লাসে হাজির ছিল পড়ুয়ারা। করোনা বিধির তোয়াক্কা নেই। মুখে নেই মাস্ক। গাদাগাদি করে বসেই ক্লাস করছিল কচিকাঁচারা। বেসরকারি স্কুলটিতে নাকি গত ৭ দিন ধরেই চলছিল ক্লাস। সরকারি নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ পাওয়া মাত্রই, এদিন এই বেসরকারি স্কুলে পৌঁছে যান কালচিনির বিডিও। তখনই দেখা যায়, কার্যত গাদাগাদি করে বসে আছে শিশুরা।
বেশিরভাগের মুখে মাস্কও নেই। শুধু ছোটরা নয়, দেখা যায় উঁচু ক্লাসের পড়ুয়াদেরও। কয়েকজন বড় ছাত্রছাত্রীকেও। এই ছবি দেখা মাত্রই স্কুল বন্ধ করার নির্দেশ দেন বিডিও। যদিও এক শিক্ষকের দাবি, স্কুল নয়, টিউশন চলছিল।
কালচিনির বিডিও প্রশান্ত বর্মন জানালেন, 'সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ক্লাস চলছিল। প্রধান শিক্ষকের খোঁজ করি, তিনি নেই। তাই তাঁকে বলি বাচ্চাদের বাড়ি পাঠানোর জন্য। প্রয়োজনে অনলাইন ক্লাস করাতে বলি। অনেক কচিকাঁচার মাস্ক ছিল না।'
অন্যদিকে এক স্কুল শিক্ষকের মতে, স্কুল চলছিল না, টিউশন চলছিল।
অন্যদিকে কয়েকজন অভিভাবকের যুক্তি, '' অনেকেই তো ডাবল ভ্যাকসিন নিয়েও করোনা আক্রান্ত হচ্ছে, কী করব, বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ আছে''
এর আগে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে, অভিযাত্রী শিশু বিদ্যানিকেতন নামে একটি স্কুলেও নিয়ম ভাঙার এক ছবি ধরা পড়েছিল। যদিও পরে স্কুল বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে বিশেষভাবে ঘায়েল হতে পারে শিশুরা, এই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাছাড়া শিশুদের ভ্যাকসিনেশনও এখনও শুরু হয়নি। তার মধ্যে এমন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ভাবিয়ে তুলছে তো বটেই।