(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Bangladesh Violence: বাংলাদেশে অশান্তি, সীমান্তবর্তী জেলাগুলিকে সতর্ক করল রাজ্য আইবি
পশ্চিমবঙ্গের সব পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার, রেলের ডিজি সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকদের চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে...
কলকাতা: বাংলাদেশে অশান্তির ঘটনার প্রেক্ষিতে সতর্ক রাজ্য। উৎসবের মরসুমে কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সীমান্তবর্তী জেলাগুলির সবস্তরের পুলিশ-প্রশাসনকে সতর্ক করল রাজ্য আইবি। পশ্চিমবঙ্গের সব পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার, রেলের ডিজিপি সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকদের চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
পুজোর মধ্যে বাংলাদেশে একাধিক জায়গায় দুষ্কৃতী হামলা ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নোয়াখালিতে আক্রান্ত হয় ইসকন মন্দির। ইসকনের তরফে তাঁদের ৩ জন ভক্তের মৃত্যুর অভিযোগ করা হয়।
অশান্তির ঘটনায় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেইমতো চলছে পুলিশি ধরপাকড়।
আরও পড়ুন: পথে নেমে মিছিল থেকে শেখ হাসিনাকে চিঠি; বাংলাদেশে হামলায় এ রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, শুক্রবার বাংলাদেশে অশান্তির ঘটনায় প্রায় ৪ হাজার জনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রুজু করেছে পল্টন, রমনা ও চকবাজার থানার পুলিশ। বহু অজ্ঞাত পরিচয়দের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে শতাধিক।
হামলার প্রতিবাদে রবিবার কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচি নেয় ইসকনের কলকাতা শাখা। গতকাল সকালে নিউটাউনে ইসকনের গোশালায় যান রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। সেখানে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ইসকন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন।
এতকিছুর পরও বাংলাদেশে হিংসা অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন কলকাতা ইসকনের সহ সভাপতি রাধারমণ দাস। তিনি বলেন, একটা স্ট্রং মেসেজ দিতে হবে। আমরা খবর পাচ্ছি হিংসা বন্ধ হয়নি। যে সব জায়গায় কার্ফু নেই সেই সব জায়গায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য চলছে। যতক্ষণ না আন্তর্জাতিক মহল বিষয়টিকে উত্থাপন করবে না, ততক্ষণ এর সমাধান হবে না।
আরও পড়ুন: তছনছ সবকিছু, শূন্য মণ্ডপেই পুজো পুরোহিতের, বাংলাদেশের ভিডিও ভাইরাল
পদ্মার ওপারে অশান্তির ঘটনায়, রবিবার সিমলা স্ট্রিটে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। এর আগে পথে নেমে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে বজরং দল ও হিন্দু জাগরণ মঞ্চের মতো একাধিক সংগঠন।
বাংলাদেশে অশান্তির ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে দমদমের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, সমস্ত দেশের উচিত সেদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়া। মোদি জমানায় যা বারবার ব্যাহত হয়েছে। এরাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব ধর্মের সব বর্ণের মানুষকে সমান সম্প্রীতি ও নিরাপত্তা দিয়েছেন। কেউ সেটা ভাঙতে গেলে সরকার কড়া হাতে ট্যাকল করবে। কিন্তু দেশে সেটা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নতুন করে হিংসার আগুন, মৃত আরও ২; গঠিত তদন্ত-কমিটি
রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, এই যে সাম্প্রদায়িকতা, জেহাদি মানসিকতা, এই মানসিকতার বিরুদ্ধে বিজেপির প্রতিবাদ মিছিল। আমরা বাংলাদেশি হিন্দুদের পাশে আছি।
বাংলাদেশে অশান্তির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা সরকারের কাছে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার লিখিত আর্জি জানিয়েছেন এপার বাংলার লেখক, শিল্পী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব-সহ বিশিষ্টজনেদের একাংশ।