(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
পথে নেমে মিছিল থেকে শেখ হাসিনাকে চিঠি; বাংলাদেশে হামলায় এ রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি
রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। পাল্টা বিঁধেছে তৃণমূল।
ঢাকা: বাংলাদেশে অশান্তির ঘটনায় জারি রয়েছে পুলিশি ধরপাকড়। সূত্রের খবর, শুক্রবারের ঘটনায় প্রায় চার হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছে শতাধিক। পথে নেমে প্রতিবাদে সরব হয়েছে ইসকন। রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। পাল্টা বিঁধেছে তৃণমূল।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, অপরাধীরা কেউ পার পাবে না। এখন প্রযুক্তির যুগ। সবাইকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' বাংলাদেশে অশান্তির ঘটনায় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেইমতো চলছে পুলিশি ধরপাকড়।
সংবাদ সংস্থা ANI সূত্রে খবর, শুক্রবার বাংলাদেশে অশান্তির ঘটনায় প্রায় ৪ হাজার জনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রুজু করেছে পল্টন, রমনা ও চকবাজার থানার পুলিশ।
বহু অজ্ঞাত পরিচয়দের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে শতাধিক। পুজোর মধ্যে বাংলাদেশে একাধিক জায়গায় দুষ্কৃতী হামলা ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নোয়াখালিতে হামলা হয় ইসকন মন্দিরে।
ইসকনের তরফে তাঁদের ৩ জন ভক্তের মৃত্যুর অভিযোগ করা হয়। তার প্রতিবাদে রবিবার কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচি নেয় ইসকনের কলকাতা শাখা।
এদিন সকালে নিউটাউনে ইসকনের গোশালায় যান রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। সেখানে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ইসকন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন।
এত কিছুর পরও বাংলাদেশে হিংসা অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন কলকাতা ইসকনের সহ সভাপতি।
কলকাতার ইসকন মন্দিরের সহ সভাপতি রাধারমণ দাস জানিয়েছেন, আজ যিনি এসেছিলেন তাকেও বলেছি, অবিলম্বে পিএমকে বলুন কথা বলতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে। একটা স্ট্রং মেসেজ দিতে হবে। আমরা খবর পাচ্ছি হিংসা বন্ধ হয়নি। যে সব জায়গায় কার্ভু নেই সেই সব জায়গায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য চলছে। যতক্ষণ না ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটি রেজ করবেন না, ততক্ষণ এর সলভ হবে না।
পদ্মার ওপারে অশান্তির ঘটনায়, রবিবার সিমলা স্ট্রিটে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। এর আগে পথে নেমে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে বজরং দল ও হিন্দু জাগরণ মঞ্চের মতো একাধিক সংগঠন।
শিক্ষামন্ত্রী ও দমদমের তৃণমূল বিধায়ক ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, সমস্ত দেশের উচিত সেদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়া। মোদি জমানায় যা বারবার ব্যাহত হয়েছে। এরাজ্যে মমতাদি সব ধর্মের সব বর্ণের মানুষকে সমান সম্প্রীতি ও নিরাপত্তা দিয়েছেন। কেউ সেটা ভাঙতে গেলে সরকার কড়া হাতে ট্যাকল করবে। কিন্তু দেশে সেটা হচ্ছে না।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, এই যে সাম্প্রদায়িকতা, জেহাদি মানসিকতা, এই মানসিকতার বিরুদ্ধে বিজেপির প্রতিবাদ মিছিল। আমরা বাংলাদেশি হিন্দুদের পাশে আছি।
বাংলাদেশে অশান্তির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা সরকারের কাছে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার লিখিত আর্জি জানিয়েছেন এই বাংলার লেখক, শিল্পী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব-সহ বিশিষ্টজনেদের একাংশ।
বাংলাদেশে অশান্তির ঘটনার প্রেক্ষিতে সতর্ক রাজ্য । উৎসবের মরসুমে কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সীমান্তবর্তী জেলাগুলির সবস্তরের পুলিশ-প্রশাসনকে সতর্ক করল রাজ্য আইবি। পশ্চিমবঙ্গের সব পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার, রেলের ডিজিপি সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকদের চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হল।