বাঁকুড়ায় ‘চপ-মুড়ি রাজনীতি’, জনসংযোগে তৃণমূল ও বিজেপি, খেয়ে ও খাইয়ে চলছে প্রচার
তেলের দাম নিয়ে তরজা চলছে। সমানতালে চলছে তেলেভাজা রাজনীতিও। শীতের সকালে সেই ছবি উঠে এল বাঁকুড়া থেকে।
পূর্ণেন্দু সিংহ,বাঁকুড়া: নীল বাড়ি দখলের লড়াইয়ে জনসংযোগের মাধ্যম চপ মুড়ি! বাংলার সনাতনী তেলেভাজা আর তপ্ত বালিতে ভাজা চাল, এই দুইকে হাতিয়ার করে বাঁকুড়ায় ভোটপ্রচারে তৃণমূল আর বিজেপি। চপ মুড়ি ইস্যুতে একে অপরকে আক্রমণ শানাল দু’পক্ষ।
তেলের দাম নিয়ে তরজা চলছে। সমানতালে চলছে তেলেভাজা রাজনীতিও। শীতের সকালে সেই ছবি উঠে এল বাঁকুড়া থেকে।
শালপাতার ঠোঙায় রাশি রাশি মুড়ি। তার ওপর সাজানো গরম আলুর চপ। শেষ মাঘের সকালে রাঢ় বাংলার ঠান্ডা গায়ে মেখে আহার এবং প্রচার দুইই চলছে একসঙ্গে...একদিকে তৃণমূল। আরেকদিকে বিজেপি।
চপমুড়ি খেয়ে ও খাইয়ে জনতার দরবারে হাজির দুপক্ষ। তৃণমূল যখন বাঁকুড়ার এক নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার চালাচ্ছে. তখন বিজেপি ব্যস্ত ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে জনসংযোগে। চপমুড়ি হাতে প্রচার চলল, সঙ্গে ঠোকাঠুকিও।
বাঁকুড়া জেলার তৃণমূল কোঅর্ডিনেটর সুব্রত দরিপা জানান, ‘‘ক'দিনের মধ্যে নির্বাচনের দিন ঘোষণা হবে। আমরা মমতার উন্নয়নের বার্তা নিয়ে মানুষের কাছে যাচ্ছি। সকালের খাবারে চপ মুড়ি বাঁকুড়ার ট্র্যাডিশন। এই চপ মুড়ি নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করছে অথচ জেলার ৮০ শতাংশ মানুষ সকালে চপ মুড়ি খান। সেই চপ মুড়ির ব্যবসা যদি বেকার যুবকরা করেন ক্ষতি কি?’’
বাঁকুড়া জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক নীলাদ্রি শেখর জানা বলেন, ‘‘মাননীয়ার অনুপ্রেরণায় কোনও নতুন শিল্প নেই। কাজ নেই। তিনি তেলেভাজা শিল্পের নিদান দিয়েছেন। ওনার কথাতেই আমরা বেকারদের সঙ্গে নিয়ে চপ মুড়িই খেলাম। আর ওরা চপমুড়ি খেল, কারণ দিদিমনির নির্দেশ। না হলে চাকরি থাকবে না ৷’’
দুই দলের প্রচারে খাবার এক। উদ্দেশ্যও এক...মানুষের কাছে পৌঁছনো। আলাদা শুধু দৃষ্টিভঙ্গি। সব মিলিয়ে বাঁকুড়াবাসীর সাধারণ প্রাতরাশ ভোটের ময়দানে হয়ে উঠেছে ভেরি ভেরি স্পেশাল আইটেম!